RG Kar Case: তিনিই প্রথম পেয়েছিলেন ‘দুর্নীতির’ গন্ধ, সিবিআই ১৫ জায়গায় হানা দিতে কী বলছেন আখতার আলি?

Aug 25, 2024 | 10:45 AM

RG Kar Case: প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (নন মেডিকেল) আখতার আলি দীর্ঘদিন আগেই আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। রাজ্য সরকার সিট গঠন করলেও হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।

RG Kar Case: তিনিই প্রথম পেয়েছিলেন ‘দুর্নীতির’ গন্ধ, সিবিআই ১৫ জায়গায় হানা দিতে কী বলছেন আখতার আলি?
বাঁদিকে আখতার আলি,প্রাক্তন ডেপুটি সুপার, ডানদিকে, সন্দীপ ঘোষ, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: রবিবার সকাল থেকেই অ্যাকশন মোডে সিবিআই। একযোগে শহরের ১৫ জায়গায় হানা দিল সিবিআই। তল্লাশি চলল আরজিকের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে। হানা দিল প্রাক্তন সুপারের বাড়িতেও। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই এর দুর্নীতি দমন শাখা সন্দীপের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। রুজু হয়েছিল আর্থিক দুর্নীতির মামলা। তারই তদন্তে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এদিকে যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ সামনে eMS সেই আখতার আলি করছেন আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। সিবিআই হানা দিতেই সন্দীপ থেকে দেবাশিস, সবার বিরুদ্ধেই গর্জে উঠলেন। 

প্রসঙ্গত, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট (নন মেডিকেল) আখতার আলি দীর্ঘদিন আগেই আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। রাজ্য সরকার সিট গঠন করলেও হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। আখতার মনে করছেন, দ্রুত অ্যাকশন নিয়ে ঠিক কাজই করল সিবিআই। বলছেন, “এটা খুব ভাল পদক্ষেপ করেছে সিবিআই। র‌্যাপিড অ্যাকশন নিয়েছে। অনেক বেশি সময় দিলে প্রমাণ লোপট করে দিতে পারত। কারণেই এই দ্রুত তদন্তের প্রয়োজন ছিল। আমি শুরু থেকেই বলছিলাম ওখানে যে চক্র আছে সেটা না ভাঙলে ছাত্রদের মুক্ত করা যাবে না। আমি চাই এদের পর্দা ফাঁস হোক। দোষীদের শাস্তি হোক।”

এদিন সকালে ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক দেবাশিস সোমের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। সেই দেবাশিস সোমের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে আখতার বলছেন, “দেবাশিস সোমের নাম আমি এক বছর আগে সামনে এনেছিলাম। উনি সরকারের কাছ থেকে মাইনে নিলেও সন্দীপ ঘোষের লোক হয়ে কাজ করতেন। উনিই সন্দীপের ডান হাত। ফরেন্সিক মেডিসিনের মর্গের কাজ না করে ওনাকে অফিস দেওয়া হয়েছিল প্ল্য়াটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ে। লোকজন, এসি চেম্বার সব দেওয়া হয়। ছাত্রদের ফেল করানো, টাকা পয়সা তোলার কেসে উনি জড়িত। মাঝেমাঝেই বিদেশে ঘুরতে যেতেন। সন্দীপ ঘোষের বেআইনি কাজের প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করতে সব সময়।” 

তাঁর দাবি, গোটা চক্রে নেপথ্যে থেকে কাজ করে গিয়েছেন প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠও। আখতার বলছেন, “উনি হয়তো সরাসরি ক্রাইম করেননি। কিন্তু সন্দীপ ঘোষের সঙ্গ দিয়েছেন। আমি যখন ডকুমেন্টে সই করতে চাইতাম না তখন উনি আর প্রিন্সিপাল জোর করে সই করাতেন। আমি প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারিনি। ওদের জন্য বাধ্য হয়ে সই করেছিলাম।” যদিও আক্ষেপ তাঁর এখনও আছে। খানিক হতাশার সুরেই শেষে বললেন, “ওই মেডিকেল কলেজকে আমি আমার জীবনের ১৬ বছর দিয়েছি। আমার মায়ের মতো। তার ইজ্জতকে এরা নিলাম করেছে। আমি মুখ খুললেও কাউকে পাশে পাইনি। কিছু স্টাফের কাছ থেকে বিভিন্ন বিভিন্ন শুধু বিভিন্ন তথ্য পেয়েছি।”  

Next Article