কলকাতা : বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় মুর্শিদাবাদের গোথা এআর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারিকে গ্রেফতার করল সিআইডি (CID)। নিজের স্কুলেই ছেলেকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আশিস তিওয়ারির বিরুদ্ধে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন তলব করা হয়েছিল তাঁকে। হাজিরা দেওয়ার পর বয়ানে অসঙ্গতি থাকার অভিযোগের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর নিয়োগ ভুয়ো বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ ছিল, সুপারিশ পত্র নেই, এমনকী নিয়োগ পত্রও নেই অনিমেষের। অনিমেষ তিওয়ারির নাম যে সুপারিশ করা হয়নি, সে কথা আদালতে জানিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। সেই মামলাতেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এক আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরি প্রার্থী অনিমেষের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। এরপর আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, আপাতত ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। বন্ধ করে দেওয়া হয় বেতনও। পাশাপাশি, ডিআই-এর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ডিআই না জানলে কীভাবে এমন হতে পারে? বিচারপতির আশঙ্কা ছিল, ডিআই জড়িত আছেন।
সিআইডি তদন্ত শুরু হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডিআই অফিসের সব কর্মীকেই তলব করা হয়েছিল। যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। তবে প্রথম থেকেই নজরে ছিলেন অনিমেষের বাবা তথা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি।
তিনি প্রধান শিক্ষক থাকাকালীনই অনিমেষের নিয়োগ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে বছর নিয়োগ হয়, সে বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের কোনও পরীক্ষাই হয়নি। কীভাবে এই নিয়োগ হল, তা নিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।