কলকাতা : সোমবার ফের এক দফা পাভলভ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ডিডিএইচএস (মেন্টাল হেল্থ)। যদিও তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটি আমাদের রুটিন ভিজিট। মাঝে মধ্যেই হয়। আমাদের কিছু বলা যাবে না। যা বলার স্বাস্থ্য সচিব বলবেন।” তবে বিষয়টিকে রুটিন ভিজিট বলে ব্যাখ্যা করলেও স্বাস্থ্য কর্তারা শুধু মহিলা ওয়ার্ডও পরিদর্শন করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই মহিলা ওয়ার্ডেরই ১৩ জন মহিলা আবাসিককে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। মহিলা ওয়ার্ডের হেড নার্সের সঙ্গে সুপারের ঘরে কথাবার্তাও বলেন তাঁরা। এদিকে প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এই বৈঠক ও পরিদর্শন পর্ব। বৈঠক শেষে এবার মুখ খুললেন পাভলভের সুপার গণেশ প্রসাদ। তাঁর বক্তব্য, “আমাকে মেরে কী হবে? আমার লোটাকম্বল বাঁধা।”
পাভলভ হাসপাতালের আবাসিকদের বেহাল দশার কথা প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিল TV9 বাংলা। দুই স্বাস্থ্যকর্তার রিপোর্টের ভিত্তিতে শোকজ় করা হয়েছিল পাভলভের সুপার গণেশ প্রসাদকে। সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল সুপারকে। কিন্তু সেই সাত দিনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সুপারের বক্তব্য, তিনি কোনও শোকজ় চিঠি পাননি। প্রশ্ন উঠছিল, এরপর কী করবে স্বাস্থ্য দফতর? এরই মধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের ঘরে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, পাভলভের সুপারের সঙ্গে কী করা হবে, মূলত তা নিয়েই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। কলকাতার অভ্যন্তরেই তাঁকে অন্য কোথাও বদলি করা হতে পারে, এমন ভাবনার কথাও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কিছুদিন ধরেই পাভলভের পরিস্থিতি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা শহর তথা রাজ্য। সুপার বার বার বলে আসছেন, তিনি শোকজ়ের চিঠি পাননি। এরই মধ্যে রবিবার লাঠি হাতে পুরুষ ওয়ার্ডের অলিন্দে ঘুরপাক খেতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। ওইদিনই আবার এক আবাসিক দুপুরে গাছের উপরে উঠে যান। সব মিলিয়ে প্রশ্নের মুখে পাভলভের সামগ্রিক ব্যবস্থা। এরই মধ্যে পাভলভের সুপারের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।