কলকাতা: কোভিড আক্রান্তের দেহ দানে নজির তৈরি হয়েছে রাজ্যে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্রজ রায়ের দেহ দান করা হয় অটোপ্সির জন্য। আর সেই অটোপ্সি থেকে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে গবেষকদের হাতে। তাই এ বার অটোপ্সির মাধ্যমে মিউকরমাইকোসিসের ‘গোপন’ তথ্যও জানতে চান চিকিৎসকেরা। এ বার মিউকরমাইকোসিসে মৃত ব্যক্তির প্যাথলজিক্যাল অটোপ্সিতে সিলমোহর দিতে চলেছে স্বাস্থ্য ভবন।
চলতি বছরে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের কালে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে এই মিউকরমাইকোসিস। করোনামুক্ত হওয়ার পরও এই ছত্রাক শেষ করে দিচ্ছে আক্রান্তকে। যদিও চিকিৎসকেরা বলছেন, আগে থেকেই এই ছত্রাক ছিল, তবে এত বেশি প্রকোপ আগে দেখা যায়নি। তাই কেন এই ছত্রাক দেহে বাসা বাঁধছে, মিউকরমাইকোসিসের জেরে শরীরে কী ক্ষতি হতে পারে? এ সব প্রশ্নের উত্তর জানতেই অটোপ্সিতে অনুমোদন দিচ্ছে রাজ্য। এ ছাড়া, করোনা মুক্ত হওয়ার পরও অনেকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সেটার কারণই বা কী? জানতে চান চিকিৎসকেরা। এই সব তথ্য আগামিদিনে চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগে সেই অটোপ্সি হবে। যদিও এখনও কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, ব্রজ রায়ের অটোপ্সিতে উঠে এসেছে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা গিয়েছে, করোনা শুধু ফুসফুসে নয়, পরিবর্তন ঘটাচ্ছে কিডনিতেও। এই তথ্য আগামিদিনে চিকিৎসকদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সার্টিফিকেটে থাকবে কার ছবি! সেই বিতর্কেই কি থমকে গেল ‘বেনভ্যাক্স’ পোর্টালের উদ্বোধন?
মরণোত্তর দেহদান আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন ব্রজ রায়। আর তাঁর দেহেই অটোপ্সি করা হয়েছে। ব্রজ রায়ের পর আরও দু’জন করোনা আক্রান্তের দেহ দান করা হয়। জ্যোৎস্না বসু নামে এক মহিলা পর দেহদান করা হয় এক চিকিৎসকের। ড. বিশ্বজিত চক্রবর্তী নামে ওই চিকিৎসক পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় ব্যক্তি, যাঁর দেহদান করা হয়েছে।