কলকাতা: বাংলা-বাংলাদশ-ওড়িশা উপকূলে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এখন অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই অতি গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের বালাসোর-সাগরদ্বীপের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করার কথা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে উত্ত-পশ্চিম দিকে সরতে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি প্রভাব পড়বে উত্তর ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়ে।
শনিবার দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। সকাল পর্যন্ত উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সকালের পর হাওয়ার গতি কমে আসবে। তবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে।
শক্তিশালী নিম্নচাপের প্রভাবে রাতভর বৃষ্টি চলবে। বইবে দমকা বাতাস। উপকূলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। ঘটনাচক্রে, এর আগের গভীর নিম্নচাপটিও স্থলভাগে ঢুকেছে দিঘা হয়েই।
দিঘা হয়ে স্থলভাগে ঢুকে পড়ল অতি গভীর নিম্নচাপ। সন্ধে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে স্থলভাগে ঢুকে পড়ে নিম্নচাপটি। এরপর বাংলা-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড হয়ে এগোবে ছত্তীসগঢ়ের দিকে। ধীরে ধীরে দুর্বল হবে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করতে না পারায় তিনটি বিমান গুয়াহাটি, দুটি বিমান ভুবেনেশ্বর বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হল।
মধ্যরাতেই ঝোড়ো হাওয়ার তীব্রতা আরও বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
হাওড়া, হুগলির একাংশ, কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে বিচ্ছিন্ন ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায়।
শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে নিম্নচাপটি এখন দিঘা থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্ব, ক্যানিং থেকে দেখলে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব, সাগর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে।