First designer of Indian flag: জাতীয় পতাকার প্রথম রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন ‘অস্ত্র’ এনেছিলেন হেমচন্দ্র

Aug 12, 2024 | 9:50 PM

First designer of Indian flag: হেমচন্দ্র কানুনগোর জন্ম ১৮৭১ সালে। জন্মস্থান পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার রাধানগর গ্রাম। স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমচন্দ্র ১৯০৬ সালে ইউরোপ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য ফ্রান্স ও সুইৎজারল্যান্ডের বিপ্লবীদের কাছ থেকে সশস্ত্র সংগ্রামের তথ্য সংগ্রহ এবং প্যারিসে বোমা তৈরির কৌশল শেখা।

First designer of Indian flag: জাতীয় পতাকার প্রথম রূপকার, স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন অস্ত্র এনেছিলেন হেমচন্দ্র
জাতীয় পতাকার প্রথম রূপকার হেমচন্দ্র কানুনগো

Follow Us

কলকাতা: গেরুয়া, সাদা ও সবুজ। ত্রিবর্ণরঞ্জিত। কেন্দ্রস্থলে ২৪টি দণ্ডযুক্ত ঘন নীল রঙের অশোকচক্র। ভারতের জাতীয় পতাকা বললে এই ছবি ভেসে উঠে। স্বাধীন ভারতের এই জাতীয় পতাকার রূপকার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালী বেঙ্কাইয়াকে। পিঙ্গালীকে জাতীয় পতাকার রূপকার বলা হলেও তার আগে পরাধীন ভারতে প্রথম জাতীয় পতাকার স্কেচ তৈরি করেছিলেন বাংলারই এক স্বাধীনতা সংগ্রামী। নাম হেমচন্দ্র কানুনগো। পুরো নাম হেমচন্দ্র দাস কাননুগো। ১৯০৭ সালে বিদেশের মাটিতে তাঁর সেই পতাকা উত্তোলনও করা হয়েছিল।

হেমচন্দ্র কানুনগোর জন্ম ১৮৭১ সালের ৪ অগস্ট। জন্মস্থান পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার রাধানগর গ্রাম। স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমচন্দ্র ১৯০৬ সালে ইউরোপ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য ফ্রান্স ও সুইৎজারল্যান্ডের বিপ্লবীদের কাছ থেকে সশস্ত্র সংগ্রামের তথ্য সংগ্রহ এবং প্যারিসে বোমা তৈরির কৌশল শেখা। বিদেশ যাত্রার জন্য তিনি নিজের পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে দেন।

বিদেশেই স্বাধীনতা সংগ্রামী মাদাম কামার সঙ্গে দেখা হয় হেমচন্দ্রের। ১৯০৭ সালের ২২ অগস্ট জার্মানির স্টুয়াটগার্টে আন্তর্জাতিক সোশ্যালিস্ট কনফারেন্সে হেমচন্দ্রের স্কেচ করা জাতীয় পতাকা তুলে ধরেছিলেন মাদাম কামা। সেটাই দেশের প্রথম জাতীয় পতাকা। এখনও পুনের তিলক মন্দিরে সেই স্কেচ রাখা আছে।

এই পতাকার স্কেচ এঁকেছিলেন হেমচন্দ্র কানুনগো

বিদেশে বোমা তৈরিও শিখে আসেন হেমচন্দ্র। দেশে ফিরে কলকাতা ও চন্দননগরে বোমা তৈরির শিবির করেন। ১৯০৯ সালে আলিপুর বোমা মামলার তারই ফল। আলিপুর বোমা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। তাঁকে আজীবনের মতো আন্দামানে পাঠানো হয়। কিন্তু, ১৯২১ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। রাধানগর গ্রামে নিজের বাড়িতে শেষজীবন অতিবাহিত করেন এই বিপ্লবী। ১৯৫১ সালে প্রয়াত হন তিনি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হেমচন্দ্র কানুনগোকে অগ্নিযুগের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য বলে অভিহিত করেন।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article