Primary TET Recruitment: আরও ৫৪ জনকে পুজোর আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 06, 2022 | 5:03 PM

Calcutta High Court: মামলাকারীদের দাবি ছিল, পর্ষদের ভুলে নম্বর কম পাওয়ায় চাকরি পাননি তাঁরা। পরে সেই ভুল স্বীকারও করে নেয় পর্ষদ।

Primary TET Recruitment: আরও ৫৪ জনকে পুজোর আগে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Follow Us

কলকাতা : পর্ষদের ভুলে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন তাঁরা। সেই অভিযোগ নিয়েই মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বছরের পর বছর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে কোনও উত্তর না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি প্রার্থীরা। ইতিমধ্যে পর্ষদ ভুল স্বীকার করে নিলেও চাকরি পাননি তাঁরা। এবার সেই মামলায় আরও ৫৪ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এই একই মামলায় ২৩ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৩ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এবার ৫৪ জনকেও ওই দিনের মধ্যেই চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। ভবিষ্যতের জন্য রাখা শূন্যপদ থেকেই নিয়োগ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। মামকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত দাবি করেছেন, আরও অন্তত ৩০০ জন এই একই অভিযোগ জানিয়েছেন।

২০১৪ সালে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা দেন এই চাকরি প্রার্থীরা। ২০১৬ সালে ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হননি তাঁরা। পরে চাকরি প্রার্থীরা দাবি করেন, ৬ নম্বর কম পাওয়ার জন্য পাশ করতে পারেননি তাঁরা, আর ওই ৬ নম্বর কম দেওয়া হয়েছে পর্ষদের ভুলেই। প্রথমে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, ৫ বছর ধরে কোনও উত্তর পাননি তাঁরা। পরে আদালতে মামলা হলে পর্ষদের তরফে ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়। ২০২১ সালে জানিয়ে দেওয়া হয় তাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরপরও চাকরি দেওয়া হয়নি তাঁদের। তাই লড়াই জারি ছিল।

পুজোর আগে আদালত নিয়োগের নির্দেশ দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি চাকরি প্রার্থীরা। তাঁরা জানান, তাঁদের একটাই ভয় ছিল, বয়স পার হয়ে যাবে। অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। তবে রাজ্য যদি ডিভিশন বেঞ্চে যায়, সেই আশঙ্কাও রয়েছে চাকরি প্রার্থীদের। নিয়োগ পত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছেন না তাঁরা।

উল্লেখ্য, এসএসসি থেকে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। বর্তমানে বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে এখনও শহরের রাস্তায় নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বহু চাকরি প্রার্থী।

Next Article