কলকাতা: ক্লাস না করে কীভাবে মিছিলে অংশ নেবেন শিক্ষকরা? শিক্ষক সংগঠনকে এমনই প্রশ্ন করল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন মিছিলের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু ক্লাসের সময়ে মিছিল করা ঠিক নয় বলেই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। তিন হাজার শিক্ষক একসঙ্গে মিছিল করার আবেদন জানিয়েছেন। টাকা বাড়ানো সহ একাধিক দাবি নিয়ে মিছিল করতে চান তাঁরা। অন্যদিকে, ব্যস্ত সময়ে অসুবিধা না হয়, এমন কোনও রুট বেছে নেওযার কথাও বলেছে আদালত। রাজ্য ও শিক্ষক সংগঠনকে বিকল্প রুট খুঁজে আসার কথা বলা হয়েছে।
বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, সরকারের কাছে দীর্ঘদিন আবেদন করেও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে শিক্ষকদের। বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “শিক্ষকরা ক্লাস না নিয়ে কাজের দিনে কী করে মিছিলে অংশ নেবেন? আগে ক্লাস করিয়ে প্রয়োজনে তারপরে সাংগঠনিক বিষয়ে যোগ দেওয়া উচিত। অথবা ছুটির দিনে এমন ব্যাপারে অংশ নেওয়া যুক্তিযুক্ত।” মিছিলের রুট নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “তিন হাজার শিক্ষক এইভাবে দিনের ব্যস্ত সময় শহরে মিছিল করলে, তাতে অনুমতি দেওয়া যাবে না।”
আগের রুট বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও বিকল্প রুটে মিছিল হবে কি না, সে ব্যাপারে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। রাজ্যের আর্জি, পুজোর আগে এমন মিছিলে অনুমতি দেওয়া হলে তাতে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। পুজোর পরে অনুমতি দেওয়ার কথা বলে রাজ্য। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, “পুজো কোনও বিষয় নয়। মহালয়ায় আগেও এমন মিছিল করা যেতে পারে।”
কোনও বিকল্প রাস্তা বা বিকল্প কোনও ফাঁকা জায়গায় জমায়েতের প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার আদালতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে রাজ্য ও ওই সংগঠনকে। বিভিন্ন দাবিতে আগামী ১৩ অক্টোবর আচার্য সদন থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত মিছিল করার আবেদন জানিয়েছিল বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। প্রায় তিন হাজার শিক্ষকের এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সে কারণেই আদালতে মামসা করেছে ওই সংগঠন।