Recruitment Scam: যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি ভিক্ষা করবে আর পুলিশ আন্দোলন করতে দেবে না?: বিচারপতি মান্থা

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 30, 2022 | 2:11 PM

Recruitment Scam: কলকাতার রাজপথে ৫০০ দিনের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন বহু চাকরি প্রার্থী। এবার আন্দোলনে অনুমতি পেলেন একদল চাকরি প্রার্থী।

Recruitment Scam: যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি ভিক্ষা করবে আর পুলিশ আন্দোলন করতে দেবে না?: বিচারপতি মান্থা
শহরের রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ

Follow Us

কলকাতা : পুজোর সময়েও চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে কোনও বাধা নেই। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। রাজ্যের যুক্তি ছিল, পুজোর সময় পুলিশকে ট্রাফিকের চাপ সামলাতে হয়, তাই এই সময় রাস্তায় আন্দোলন চললে অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু সেই যুক্তি এ দিন খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টে।

শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি বলেন, ‘যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবেন, আর পুজো আছে বলে পুলিশ তাঁদের আন্দোলন করতে দেবেন না? এটা হয়না। এটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়।’

ধর্মতলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করার আবেদন জানিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী একমাসের জন্য আন্দোলন করতে পারবেন তাঁরা। নির্দিষ্ট সময় মেনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে রানি রাসমণি রোড নাকি গান্ধীমূর্তির পাদদেশ? কোথায় হবে আন্দোলন? তা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে কোনও নিয়োগ শুরু হয়নি। চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ।

সরকারি আইনজীবীর দাবি ছিল, পুলিশ পুজোর সময় ব্যস্ত থাকে। রানি রাসমণি রোডে একটি অবস্থান চলছে, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যদি অবস্থান করেন, তাহলে বিবেচনা করা যেতে পারে। সেই মামলায় এ দিন আন্দোলনের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। বৃহস্পতিবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেছেন, যে রিপোর্ট সামনে এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এই শিক্ষকেরা সমাজকে তৈরি করেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এ ভাবে চাকরি পাওয়ায় গোটা সমাজের বিশ্বাসকে নষ্ট করা হয়েছে। আদালত সব জঞ্জাল সাফ করবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

Next Article