কাঁথি: দিঘার হোটেলে ডেকে ধর্ষণ, ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্ল্যাকমেল, এমনই সব বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে কাঁথির এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের সেই মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই সেই মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি এদিন কার্যত ভর্ৎসনা করেন পুলিশকে। এক নাবালিকা কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই ছাত্রনেতা পলাতক। ওই ছাত্রনেতা, তাঁর বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পকসো সহ আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশি তদন্তের গতি দেখে মঙ্গলবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় বিরক্ত বিচারপতি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য, ‘বলতে দ্বিধা নেই পুলিশ অভিযুক্ত সম্পর্কে দুর্বলতা দেখাচ্ছে। অভিযুক্ত কোথায় আছে, পুলিশ সবটাই জানে। কিন্তু ইচ্ছে করে ধরছে না। পুলিশের গা ছাড়া মনোভাব কোর্টের নজর এড়াচ্ছে না।’ হাইকোর্টের নির্দেশ, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। বুধবার নিম্ন আদালতে অভিযুক্তের আগাম জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে। এদিন তদন্ত হস্তান্তর করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
অভিযুক্তের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডলের কাছে বিচারপতি জানতে চান, ভিডিয়ো ক্লিপ কোথায়? হাইকোর্ট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
নির্যাতিতার মা অভিযোগে জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁর মেয়েকে। এরপর ফের দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতার বাবার দাবি, ওই ঘটনার পর থেকে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বাড়িতেও লোক পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।