কলকাতা: স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানো নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় আপাতত রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিনের শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করেন, আবারও কি স্কুলে ছুটি বাড়বে? যদিও রাজ্য স্পষ্ট করে নি আদৌ আবার স্কুল বন্ধ হবে কিনা। সোমবারই শুনানি শেষ হয়। তবে রায় দান স্থগিত রেখেছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
সোমবারের শুনানির শুরুতে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখন বর্ষা এসে গিয়েছে। কোনও তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভবনা নেই। আগে যে বিজ্ঞপ্তি আবহাওয়ার ওপরে ভিত্তি করে হয়েছে, সেটারই এই মুহূর্তে কোনও ভিত্তি নেই। সেক্ষেত্রে মামলাকারীর প্রশ্ন, তাহলে গরমের ছুটির মেয়াদ ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর অর্থ কী?
তিনি আরও সওয়াল করেন, প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়ারা এক্ষেত্রে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে মিড ডে মিল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তা খারিজের আর্জি জানিয়েছে।
রাজ্যের আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন, যখন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমের কিছু কিছু জেলার তাপমাত্রা ৪১-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট করা হয়, মিড ডে মিল বন্ধ হয়নি।
তখন প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কি আর বাড়াতে চান?” রাজ্যের তরফে বলা হয়, “সব নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। যদি পরিস্থিতি ভাল হয় তার ওপর নির্ভর করবে।”
প্রসঙ্গত, স্কুলে গরমের ছুটির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর দাবি, করোনাকালে পড়ুয়াদের পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এবার একটানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি থাকলে পড়ুয়াদের আরও ক্ষতি হবে। তাই অবিলম্বে ছুটির মেয়াদ নিয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন মামলাকারী।