কলকাতা: ভাঙড়ে সিপিএমের সভা করা নিয়ে জট কাটল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আগামী ২৮ মার্চ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বেঞ্চে রাজ্য জানিয়েছে, ভাঙড়ে ওই দিন সভার অনুমতি দিতে আপত্তি নেই পুলিশের। মাস খানেক আগেই যখন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জেলবন্দি ছিলেন, তখন তাঁর মুক্তির দাবিতে মিছিল করতে চেয়েছিল সিপিএম। কিন্তু সেই মিছিলের ঠিক আগেই ১৪৪ ধারা জারি করে কাশীপুর থানা। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বামেরা প্রশ্ন তোলে, তাদের মিছিলে বাধা দেওয়া হলেও শাসক দলের মিছিল চলছে কীভাবে? শুক্রবার বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি।
মিছিলের আগেই ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক বলে মনে করেনি সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের বক্তব্য ছিল, রাজ্য সরকার তথা শাসক দল ভয় পেয়েছে বলেই বামেদের মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে। জনসমুদ্র হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই নবান্ন ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ দিয়েছিল বলে দাবি করেছিল বামেরা। আদালতের নির্দেশে এবার আর মিছিলে কোনও বাধা রইল না। শুধু তাই নয়, মিছিল নিয়ে কোনও দলের মধ্যে যাতে বৈষম্য না থাকে সেই কারণে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সিপিএমে তরফে। এদিন সেই প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। যদিও নওশাদের মুক্তির দাবিতে এই মিছিল করার কথা ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে, তবে ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়, বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে তৃণমূল যে সভা করেছে, তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মিছিল করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনুমতি না নিয়ে সভা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের সেই মিছিলে ছিলেন আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লা, কাইজার আহমেদ প্রমুখ।