কলকাতা : খড়গপুর সদরের বিধায়ক তথা বিজেপির অন্যতম তারকা মুখ হিরণকে (Hiran Chatterjee) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়ছিল। শোনা যাচ্ছিল, ক্রমশ দলের অন্দরে গুরুত্ব হারাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর নিজের এলাকাতেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী চাপ বাড়াচ্ছিল বলেও সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে বঙ্গ বিজেপির (BJP) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে যান তিনি। আর এবার পুরসভা নির্বাচনে কনভেনর বা আহবায়ক পদ দেওয়া হল হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে তার সাক্ষাৎও হয়েছে তাঁর। তাই ক্ষোভ প্রশমনের জন্যই তাঁর এই পদ প্রাপ্তি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি আরও বেশ কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে একই পন্থা। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে মতুয়া আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন এমন কয়েকজন নেতাকেও পরে কনভেনরের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজেপির তরফে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর নিজের বিধানসভার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে সুরও চড়িয়েছিলেন হিরণ। সম্প্রতি বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের সুর চড়া হয়েছে ক্রমশ। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ। সূত্রের খবর, দিনের পর দিন দলের অন্দরেই একঘরে হয়ে পড়ছিলেন তিনি। একাধিকবার তিনি রাজ্য নেতৃত্বকেও সে কথা জানিয়েছেন। তবে তাতেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। তারপরই তিনি গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই এলাকারই সাংসদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শোনা যায়, তাঁর অনুগামীরাই নাকি কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন হিরণকে। দলেরই অপর গোষ্ঠী থেকে রাজনৈতিক চাপ আসছিল বলেও জানা যায়। এমনকি ‘হিরণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’, এ কথা লিখে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছিল এলাকায়। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে গিয়ে নেতাদের বারবার এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছিলেন বলেও ঘনিষ্ঠ নহল সূত্রে খবর। কিন্তু, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দিলীপ ঘোষকে অভিনন্দন জানিয়ে খড়গপুরের একাধিক জায়গায় হোর্ডিং দেওয়া হয়েছিল। কোনও হোর্ডিংয়ে দিলীপের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ছবি, কোথাও বা অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের দেখা গেলেও কোথাওই দেখা যায়নি বিধায়ক হিরণের ছবি। কিন্তু দলের হোর্ডিংয়ে কেন থাকবে না বিধায়কের ছবি? তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। যদিও সে সময় কেউই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। অবশেষে হিরণকে এই নতুন দায়িত্ব দেওয়া বঙ্গ বিজেপির কৌশলী পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন : Adhir Chaudhury on jobs: ছাত্রদের ওপর অন্যায়ভাবে লাঠি চার্জ হয়েছে, চাকরি প্রার্থীদের জন্য সরব অধীর
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার
কলকাতা : খড়গপুর সদরের বিধায়ক তথা বিজেপির অন্যতম তারকা মুখ হিরণকে (Hiran Chatterjee) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়ছিল। শোনা যাচ্ছিল, ক্রমশ দলের অন্দরে গুরুত্ব হারাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর নিজের এলাকাতেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী চাপ বাড়াচ্ছিল বলেও সূত্রের খবর। কয়েকদিন আগে বঙ্গ বিজেপির (BJP) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে যান তিনি। আর এবার পুরসভা নির্বাচনে কনভেনর বা আহবায়ক পদ দেওয়া হল হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে তার সাক্ষাৎও হয়েছে তাঁর। তাই ক্ষোভ প্রশমনের জন্যই তাঁর এই পদ প্রাপ্তি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি আরও বেশ কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে একই পন্থা। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে মতুয়া আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন এমন কয়েকজন নেতাকেও পরে কনভেনরের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিজেপির তরফে।
বৃহস্পতিবার বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর নিজের বিধানসভার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে সুরও চড়িয়েছিলেন হিরণ। সম্প্রতি বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের সুর চড়া হয়েছে ক্রমশ। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ। সূত্রের খবর, দিনের পর দিন দলের অন্দরেই একঘরে হয়ে পড়ছিলেন তিনি। একাধিকবার তিনি রাজ্য নেতৃত্বকেও সে কথা জানিয়েছেন। তবে তাতেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। তারপরই তিনি গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই এলাকারই সাংসদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শোনা যায়, তাঁর অনুগামীরাই নাকি কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন হিরণকে। দলেরই অপর গোষ্ঠী থেকে রাজনৈতিক চাপ আসছিল বলেও জানা যায়। এমনকি ‘হিরণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’, এ কথা লিখে পোস্টারও সাঁটানো হয়েছিল এলাকায়। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে গিয়ে নেতাদের বারবার এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছিলেন বলেও ঘনিষ্ঠ নহল সূত্রে খবর। কিন্তু, তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দিলীপ ঘোষকে অভিনন্দন জানিয়ে খড়গপুরের একাধিক জায়গায় হোর্ডিং দেওয়া হয়েছিল। কোনও হোর্ডিংয়ে দিলীপের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ছবি, কোথাও বা অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের দেখা গেলেও কোথাওই দেখা যায়নি বিধায়ক হিরণের ছবি। কিন্তু দলের হোর্ডিংয়ে কেন থাকবে না বিধায়কের ছবি? তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। যদিও সে সময় কেউই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। অবশেষে হিরণকে এই নতুন দায়িত্ব দেওয়া বঙ্গ বিজেপির কৌশলী পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন : Adhir Chaudhury on jobs: ছাত্রদের ওপর অন্যায়ভাবে লাঠি চার্জ হয়েছে, চাকরি প্রার্থীদের জন্য সরব অধীর
** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী
** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার