কলকাতা: নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরে আবার কি দাপট দেখাবে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)? আপাতত এই প্রশ্নের মুখেই সারা দেশ। কেরলে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সতর্কবার্তা যে আশঙ্কাকে আরও পাকাপোক্ত করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আশঙ্কা, কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ (বিএ.২.৮৬.১.১) শুধু কেরল নয়। তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো দক্ষিণ ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যে ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছে। আর তাই জারি হয়েছে সতর্কবার্তা। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বাংলার অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। তাই কেন্দ্রীয় সতর্কবার্তায় বাংলার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চরিত্রের বদল ঘটায় কোভিডের নতুন সাব স্ট্রেন সংক্রমণ ছড়ানোয় শুধু পটু নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ার কৌশলও তার আয়ত্তে। তবে আশার কথা, মারণক্ষমতা কম। তবে কো-মর্বিডিটি থাকলে স্বস্তি নেই। উপসর্গ বলতে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, সর্দি ও পেটের গণ্ডগোলের কথা।
চিকিৎসক রাজা ধর অবশ্য ভয়টা পাচ্ছেন কো-মর্বিডিটি নিয়ে। তাঁর মতে, নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলি খুব একটা প্রাণঘাতী হবে না। সংক্রমণ ছাড়ালেও খুব বেশি মানুষের যে মৃত্যু হবে, বা হাসপাতালে ভর্তি হবেন এমনটা নয়। আর কেরলে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের কোর্মিডিটি ছিল। তাই সরাসরি কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে এমনটা নয়।
তবে এখন হাসপাতালগুলিতে যে রোগীরা আসছেন তাঁদের মধ্যে সরাসরি করোনার উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক যোগীরাজ রায়। তবে নয়া ভ্যারিয়েন্ট ক্ষমতা খুব একটা কম নয় বলে তাঁর মত। তিনি আবার বলছেন, যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁদের কোনও রোগীই ছিল না তাঁদের অনেককেই অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে। তাই এটা একটু উদ্বেগের।