কলকাতা: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের জয়ের পর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিক আঙিনায়। পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে শুরু হয় চাপানউতর। এরইমধ্যে বাম-কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে তৃণমূলে (Trinamool Congress) চলে গিয়েছেন বাইরন। যদিও তারপরেও মুর্শিদাবাদের নানা প্রান্তে লাগাতার তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে দেখা যায় বহু কর্মী সমর্থককে। নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিকে শেষ বিধানসভা ভোটে দুই দলেরই প্রাপ্ত নম্বর ছিল শূন্য। ঘাসফুল ঝড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। যদিও তারপর পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা সময়। কতটা শক্তি বাড়ল বামেদের। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন ২০১৮ সালে ৩৭ শতাংশ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থীরা। এবারে তা বেড়ে ৬৪ শতাংশ হয়ে হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৫৮৬৯২টি আসনের মধ্যে ২১৬০২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছিল বামেরা। সেখানে এবার বামফ্রন্ট মিলিতভাবে ৫৩ হাজারের বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেস ১৭ হাজারের বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে ৩ হাজারের বেশি প্রার্থী হয়েছে আইএসএফের। অন্যদিকে বিজেপি ৫৩ হাজারের বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট এবারে রাজ্যের শাসকের বিরুদ্ধে জোর টক্কর দিতে চলেছে বিরোধীরা। যদিও বাম নেতাদের দাবি, অনেক জায়গাতেই তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার বোমা-বন্দুকের ভয় দেখিয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “শাসকদল মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর জন্য খুবই চেষ্টা করছে। স্বাভাবিক কারণেই মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। এমনকী তৃণমূলের পুরনো মানুষরাও বুঝতে পারছেন পশ্চিমবঙ্গে সর্বনাশের রথচক্র চালাচ্ছে তৃণমূলের বাহিনী। তার বিরুদ্ধে মানুষের রুখে দাঁড়ানোর একটা মনোভাব দেখা যাচ্ছে। যদি স্বাধীনভাবে মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারত তাহলে আমরা সব আসনেই প্রার্থী দিতে পারতাম। তবে আমরা আগেও বলেছি এটা ২০১৮ নয়, এটা ২০২৩। শাসকদল যেন মনে রাখে এই যত জায়গায় ওরা মনোনয়ন আটকেছে এই সমস্ত জায়গার মানুষের নজর রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দিকে। ওই সময় তারাও কিন্তু প্রতিশোধ নেবে।”