কলকাতা: একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। তুমুল শোরগোল। মিলছিল না খোঁজ। অবশেষে শুক্রবার রাতে পাকড়াও জামাল। এদিনই তাঁকে তোলা হচ্ছে বারুইপুর আদালতে। পুলিশ ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। জামালের বিরুদ্ধে মারধর, জোর করে আটকে রাখা, খুনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, তোলাবাজি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
১৬ তারিখ দুপুরের পর থেকে ক্রমাগত লোকেশন পাল্টাতে থাকে জামালউদ্দিন। এক জায়গায় খুব বেশি সময় থাকছিলও না। এমনকী নিজের মোবাইল নম্বরও পাল্টে ফেলে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ধরে ফেলে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনা সামনে আসার পরেই গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করে জামাল। ১৬ তারিখ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে ঘুটিয়ারি শরিফে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় প্রথমে যায় জামাল। ওই এলাকাতেই রাত কাটায় একটি বাঁশ বাগানের মধ্যে। পরদিন ট্রেন ধরে বিধাননগর চলে যায়। তারপর ডানকুনিতে গিয়ে এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা করে। সেখান থেকে বাসে করে আবার কলকাতায় ফিরে আসে। কলকাতায় একাধিক জায়গায় গিয়েছিল জামাল। তদন্ত এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
তদন্তে এও জানা গিয়েছে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য জামালউদ্দিন নতুন মোবাইল নম্বর নিলেও কারও সঙ্গেই নিজের মোবাইল থেকে যোগাযোগ করছিল না। এই কয়েকদিন যে সব লোকেশন ঘুরে বেড়িয়েছিল সেখানেই কারও না কারও ফোন নিয়ে পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রয়োজনীয় কাজও মেটায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার শামুকপোঁতা এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
যদিও জামাল বলছেন, “সরকারি জমি দখল করে বাড়ি তৈরি হয়েছে। যাঁরা এই এসব করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছি। তাই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”