কলকাতা : শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের কুঠুরিতেই থাকতে হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে আর পাঁচজন সাধারণ বন্দিদের মতো মেঝেতেই শুতে হচ্ছে তাঁকে। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেখানে সংশোধনাগার থেকে একটি কম্বল দেওয়া হয়েছে তাঁকে এবং সেটি নিয়েই শুতে হচ্ছে পার্থ বাবুকে। তবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে কোনও ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সূত্রের খবর, যদি সংশোধনাগারের চিকিৎসকরা যদি মনে করেন কোনও বন্দীর শারীরিক অবস্থার জন্য কোনও ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে, সেক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই ব্যবস্থা যে কোনও বন্দীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যদি পরামর্শ দেন, তাহলে পার্থ বাবুর শোয়ার জন্য চৌকির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে মারফত এমনই জানা গিয়েছে।
শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীদের মধ্যে একজন এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। যদিও ওই আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের সামনে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। এক আইনজীবী পার্থ বাবুর সঙ্গে দেখা করতে এলেও, শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর পরিবারের কেউ দেখা করতে আসেননি। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে এমনও জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি মাথায় রেখে যে কুঠুরি পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন, সেই কুঠুরির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হতে পারে। এই নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়া হয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেক্ষেত্রে সাধারণ বন্দিদের মতোই থাকতে হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পয়লা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতীয় কুঠুরিতে রয়েছেন তিনি। এই কুঠুরিতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সবথেকে নিরাপদ সেল বলেই জানা গিয়েছে। তবে সংশোধনাগারের দেওয়া কম্বল পেতে মেঝেতেই রাত কাটাতে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। একমাত্র চিকিৎসকরা যদি পরামর্শ দেন, তাহলেই পার্থ বাবুকে চৌকি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।