কলকাতা: শহরে আবারও অঙ্গদানের নজির। এক তরুণীর ব্রেন ডেথের পর পরিবারে তরফে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৃতার হৃদযন্ত্র পাঠান হয় হাওড়ার আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দু’টি কিডনির প্রতিস্থাপন হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। লিভারও প্রতিস্থাপন হয় সেখানে।
হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা বছর চৌত্রিশের সুজাতা প্রধান নস্কর। পেশায় তিনি গৃহবধূ। মে মাসের ২৮ তারিখ স্বামীর সঙ্গে বাইকে করে পুজো বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তখন একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে সুজাতা দেবীর মাথায়। চলন্ত বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। গুরুতর চোট পান মাথায়। এরপর হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং পরে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। যেহেতু মাথায় চোট পেয়েছিলেন সেই কারণে কোমায় চলে যান ওই তরুণী। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান ব্রেন ডেথ হয়েছে তাঁর।
তখনই সুজাতার পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় অঙ্গ দানের। সেই মতো শনিবার রাত ১২ টা ১০ নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে হৃদযন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলার আন্দুলের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হয় ২৩ বছরের হুগলী নিবাসী এক তরুণের শরীরে। অন্যদিকে, শনিবার রাতেই দু’টি কিডনি এবং লিভার প্রতিস্থাপন হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। লিভার পান হুগলির ৫৫ বছরের মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। একটি কিডনি পান পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা সুরাইয়া ইয়াসমিন। সুজাতার অপর কিডনি পেলেন উল্টোডাঙার বাসিন্দা বছর ৫২ রিতা কর।
সুজাতা দেবীর পরিবারের এক সদস্য জানান, ‘চিকিৎসক পরামর্শ দেন যাতে আমরা অঙ্গদান করি। সুজাতার ভাল যে সকল অঙ্গ রয়েছে সেগুলি যেন দান করি। অঙ্গদান করলে আরও অনেকে বাঁচবে। তাঁদের মধ্যে দিয়ে বাঁচবেন সুজাতা। এরপর পরিবারের সকলে মিলে আমরা আলোচনা করি। সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিই যে আমরা তাই করব।’