কলকাতা: রাস্তার ধারে পড়ে গাদা গাদা নিষিদ্ধ বাজি। তিনটি কার্টুন এবং একটি নাইলনের বস্তার ভিতরে রাখা ছিল কিলো কিলো বাজি। ১২০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার হয়েছে পুলিশি অভিযানে। কালীপুজো এগিয়ে আসতেই আরও সজাগ পুলিশ প্রশাসন। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি বন্ধ করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুলিশ। বুধবারও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি ও কেনা বন্ধ করতে অভিযান চালায় পুলিশ। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে, পুলিশ এদিন ওল্ড চায়না বাজার স্ট্রিট এবং বনফিল্ড লেনের ক্রসিংয়ে হানা দিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই তিনটি কার্টুন এবং একটি বস্তা ভর্তি বাজি বেওয়ারিশভাবে পড়ে ছিল। কে বা কারা এই বিপুল পরিমাণ বাজি ফেলে রেখে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। উল্লেখ্য, উৎসবের মরশুমে প্রতি বছরই নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির প্রবণতা দেখা যায়। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই চলে কেনা-বেচা। আর প্রতি বছরই পুলিশও সক্রিয় হয়ে উঠে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি বন্ধ করতে। এই বছরও কালীপুজো বা দীপাবলির দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই কলকাতা শহর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি শুরু হয়েছে। আর তাই সজাগ পুলিশ প্রশাসনও।
শুধু কলকাতাতেই নয়, জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এদিকে কোন বাজি বিক্রি হচ্ছে, বা ব্যবহার হচ্ছে, তা নিয়ে সতর্ক আদালতও। মঙ্গলবারই হাইকোর্টের তরফে দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি পেট্রোলিয়াম ও বিস্ফোরক সুরক্ষা সংস্থা ও ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সস্টিটিউটকে দায়িত্ব দিয়েছে উৎসবের মরশুমে সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স বিক্রি হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ের উপর নজরদারি করার। একইসঙ্গে আদালত এও জানিয়েছে, কলকাতার বাজারে সবুজ বাজি বিক্রি হওয়া এবং ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকেই। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরের দিনই বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ।