কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আবহে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষে ঝরেছে রক্ত। প্রাণও গিয়েছে অনেক। এদিনও ভাঙড়ের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূলের (Trinamool Congress) মধ্যে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। চলে রাস্তা অবরোধ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। এদিকে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে ভাঙড়। অবশেষে ভাঙড়ের হানাহানি নিয়ে মুখ খুললেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Jadavpur MP Mimi Chakraborty)।
স্পষ্ট বললেন, যারা মারপিট করে, দাঙ্গা করে তাদের পাশে আমি কোনদিন ছিলাম না, থাকবও না। প্রসঙ্গত, এদিন ডক্টরস ডে উপলক্ষে পাটুলি থানায় একটি রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন এসেছিলেন মিমি। সেখান থেকেই শান্তির বার্তা দিতে দেখা যায় মিমিকে। বলেন, “আমি কোনওদিনই মার-দাঙ্গা এসবের পক্ষে নেই। কোনওদিন থাকবও না। যাঁরা এগুলোকে উৎসাহ দেয় আমি তাঁদের পাশেও কোনওদিন দাঁড়ব না। আমাদের প্রশাসন গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। অনেকটা নিয়ন্ত্রণও হয়েছে। আমি সাধরণ মানুষকে বলব একটা ভোটের জন্য এই জিনিসগুলি না করতে। এটাই আমার তাঁদের প্রতি বার্তা। সবাই সুস্থভাবে ভোট দিন। যাঁরা কাজ করেছে, যাঁরা সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে ছিল তাঁদের ভোট দিন। আসলে মার-দাঙ্গা করে কোনওদিন কিছু হয়নি। হবেও না। আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি সবসময় চাই সব কিছু শান্ত থাকুক।”
এদিকে ভগবানপুরে অশান্তির পরই ওই এলাকা থেকে কিছুটা দূরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করতে দেখা যায় ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লাকে। যদিও সেখানে তিনি কর্মীদের কী বার্তা দিয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে এরইমধ্যে ভাঙড়ের দুই আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাঙড়ের কাশীপুর অঞ্চলের জিরানগাছা থেকে ওই দুই কর্মীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়।