TMCP: ‘এই কেসের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই’, FIR হতেই ফুঁসে উঠলেন তৃণাঙ্কুর
TMCP: তবে তোপ দাগতে ছাড়েনি বামেরা। বাম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, “রাজ্য সরকার এটা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে করেনি। আদালতের নির্দেশে বাধ্য হয়ে করেছে।” যদিও তৃণাঙ্কুর বলছেন, “যাঁরা আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে, ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হবে না।”

কলকাতা: পাহাড়ে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এফআইআর করেছে রাজ্য। তাতে নাম রয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোরাধ্য়ায়ের। রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের আরও একাধিক তাবড় তাবড় নেতাদের নাম। নাম রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের। নাম আছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোসেরও। এই খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলের আনাচে-কানাচে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণাঙ্কুর। তিনি বলছেন, “বিজেপি বোধহয় ভয় পেয়েছে। আমরা বরাবরই নির্বাচন আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেৃতৃত্বদের উপর এ ধরনের অভিযোগ লাগিয়ে তাঁদের আটাকানোর চেষ্টা করে। এরকম কোনও কিছুর সঙ্গে আমি যুক্ত নই।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “যাঁরা আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে, ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হবে না। কারণ এই কেসের সঙ্গে আমার দূর-দূরান্তেও কোনও সম্পর্ক নেই। কারও সঙ্গে পরিচয়ও হয়নি। তদন্ত হোক। তদন্তে হলে পূর্ণ সহযোগিতা করব। কিন্তু বিরোধীরা যতই চক্রান্ত করুক সত্যি ঠিকই সামনে আসবে।”
তবে তোপ দাগতে ছাড়েনি বামেরা। বাম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, “রাজ্য সরকার এটা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে করেনি। আদালতের নির্দেশে বাধ্য হয়ে করেছে। চাপে পড়ে কমিটি তৈরি হয়েছিল। তাঁরা তিন চারজনের নাম পেয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করার নির্দেশ ছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে।”
প্রসঙ্গত পাহাড়ের শিক্ষাঙ্গনে দুর্নীতির অভিযোগে একটি চিঠি সামনে আসে। সেই বেনামি চিঠি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শিক্ষা মহলের অন্দরে। ওই চিঠির ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করেন স্কুল শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি। বিধান নগর উত্তর থানায় দায়ের হয়েছে এই এফআইআর। সেই এফআইআর প্রথমবার রাজ্য সরকার নিজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করল।





