Jadavpur University: ‘খুন হয়ে যেতে পারি’, যাদবপুরের ‘ভয়ানক রেওয়াজ’-র আশঙ্কা তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের নেতার
Jadavpur University: গতকালের ঘটনা নিয়ে বিনয় সিং বলেন, "উপাচার্যও গতকাল শারীরিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীকেও শারীরিক আঘাত ও হেনস্থা করা হয়েছে। গবেষকরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।"

কলকাতা: তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে শনিবার রণক্ষেত্র হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তার একদিন পর প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন যাদবপুরের তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের নেতা বিনয় সিং। টিভি৯ বাংলাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভয়ানক রেওয়াজ’-র কথা বললেন।
গতকাল যাদবপুরে শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে বিনয় সিং বলেন, “শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন শিক্ষাবন্ধু সমিতির কার্যালয় ভস্মীভূত করে দেওয়া হল। এটা গণতন্ত্রে মেনে নেওয়া যায় না।” এরপরই প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি ক্যাম্পাসের কোয়ার্টারে থাকি। সেই কোয়ার্টারের দরজায় ধাক্কা মারা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় বলা হচ্ছে, গণবিচার করা হবে। গণআদালত বসানো হবে। এখানে ভয়ানক রেওয়াজ আছে যে যাকে টার্গেট করা হবে, তাকে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ টেনে নিয়ে যাবে। তাকে মারধর করা হবে। হাফ ডেড বা ডেড করে দেওয়া হবে। অতীতে এটা দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণহানির আশঙ্কা করছি।”
গতকালের ঘটনা নিয়ে বিনয় সিং বলেন, “উপাচার্যও গতকাল শারীরিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীকেও শারীরিক আঘাত ও হেনস্থা করা হয়েছে। গবেষকরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। এটাই সবার কাছে আবেদন।”
কেন তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে বিনয় সিং বলেন, “পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা কোনও প্রতিশোধ বা অন্য কোনও রাজনৈতিক বিদ্বেষে নয়। গতকাল আমরা পুলিশের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছি নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। নিজেদের লোকেদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যাওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়। পরিস্থিতি বাধ্য করেছে পুলিশের কাছে যেতে।”

