Kaustav Bagchi’s arrest : কৌস্তভের প্রতিবাদী লড়াইকে আমি সমর্থন করি : শুভেন্দু
Kaustav Bagchi’s arrest : এদিন কৌস্তভকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। সেখানে জামিন মিলেছে তাঁর।
কলকাতা : ভোররাতে বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশের বড় দল। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচীকে (Kaustav Bagchi’s arrest)। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে। এবার তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। কৌস্তভ ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। শুভেন্দু বলেন, “সম্প্রতি দুর্নীতি ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কটি যুব কণ্ঠ সোচ্চার হয়েছে তার মধ্যে কৌস্তভ বাগচী অন্যতম। ব্যক্তিগতভাবে ও আমার ভাইয়ের মতো। লড়াকু ও অত্যন্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের একটা ছেলে। ওর এই প্রতিবাদী লড়াইকে আমি সমর্থন করি। একজন কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট তরুণ আইনজীবীর বাড়িতে যে কায়দায় রাত তিনটের সময় পুলিশ হানা দিয়েছে তার প্রতিবাদ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”
এদিন কৌস্তভকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। সেখানে জামিন মিলেছে তাঁর। ১ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। এদিন বিচারক (অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১) অতনু মণ্ডলের এজলাসে কৌস্তভের মামলার শুনানি হয়। পরবর্তী শুনানি ৫ এপ্রিল। তাঁকে তাঁর গ্রেফতারির পরেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে খানিক ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তাঁর স্পষ্ট দাবি, পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ছাত্রযুবরা কৌস্তভের অসভ্যতা বুঝে নিতে পারত। পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ঠিক হল না।’
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি অবশ্য ভিন্ন মত পোষণ করছেন। তিনি বলেন, “কুণালবাবুর ব্যক্তিগত মতামত আমি জানি না। কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারী কৌস্তভকে সমর্থন এই কারণেই করছেন কারণ সকাল থেকে রাত অবধি তাঁর মমতা আক্রমণ করাই কাজ। সারাদিনই বাজে ভাষায় কথা বলে চলেছেন, কটূক্তি করছেন, তাঁর পরিবারকে নিয়ে বাজে কথা বলে চলেছেন। সে কারণেই উনি কৌস্তভকে সমর্থন করছেন।” পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “সবাই দেখতে পাচ্ছে সেদিন নওশাদ গ্রেফতার হল, ওর দলেরও অনেক লোক গ্রেফতার হল। কিন্তু, যাঁরা আসলেই গণ্ডগোল করল তাঁদের একটা লোকও গ্রেফতার হল না। একইভাবে নিশীথ অধিকারীর গাড়ি ভাঙচুরের সময়ও তৃণমূলের কোনও লোককে গ্রেফতার করা হয়নি।”