কলকাতা: ‘আমার যদি সত্যিই কোনও অপরাধ থাকে তবে যে শাস্তি মানুষ আমাকে দেবে তা মাথা পেতে নেব’ পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মুখে শোনা গেল এ কথা। তবে এই প্রথম যে তার মুখে এ কথা শোনা গেল এমনটা নয়, এর আগেও একাধিকবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ‘ক্ষমা’ প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মমতার সাফ দাবি, “দাম্ভিকতা কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষেই ভাল নয়। মানুষের আশীর্বাদ-শুভেচ্ছা-দোয়া পেলে আরও নম্র হতে হয়।” কিন্তু ঠিক কিসের জন্য ক্ষমা চাইলেন মমতা? এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতার মুখে এ কথা শোনার পরেই তা নিয়ে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে বল্গাহীন হিংসার ছবি দেখেছে বাংলা। শাসক থেকে বিরোধী সবদলেরই কর্মী সমর্থকদের প্রাণ গিয়েছে। কোথাও পুড়েছে ব্যালট। কোথাও জলে ভেসেছে জনমত। বিরোধীরা বারবারই কাঠগড়ায় তুলেছে নির্বাচন কমিশনকে। উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও। খানিক একই সুর বিএসএফের গলাতেও। অভিযোগ, তাঁদের ভুল পথে চালিত করেছে কমিশন। অসমর্থিত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫০ লাশ পড়ে গিয়েছে। যদিও মমতার হিসাব বলছে সংখ্যাটা ১৯।
যদিও মৃত্যুর জন্য ইতিমধ্যেই তিনি শোকপ্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারকে দিচ্ছেন ক্ষতিপূরণ, চাকরি। এমনকী মমতার এও দাবি, রাজ্যের যে পকেট গুলিতে ঝামেলা হয়েছে সেখানে ঝামেলার ‘ট্র্যাডিশন’ চলে আসছে ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে। আঙুল তুলেছেন বিরোধীদের দিকে। এমনকী আধা সেনার উপস্থিতিতেও যে ঝামেলা হয়েছে সে কথাও এদিন মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি তিনি। অশান্তির আবহে মন ভাল ছিল না তাঁরও, সতর্ক ছিল সরকার। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “গতকাল আমরা কিন্তু ঘুমোইনি। আমি আর আমার তৃণমূল পরিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত পাহারা দিয়ে গিয়েছে। আমার মুখ্যসচিব, পুলিশ, জেলাশাসকরাও একটানা পাহারা দিয়েছেন।”