কলকাতা: “গার্জেনদের ডেকে এনে কী দেখাবে? পর্নোগ্রাফি? প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা জানে কতটা কী করা যায়। অথোরিটিকে অনুরোধ প্রেমে হাত দেবেন না প্লিজ।” প্রেসিডেন্সি বিতর্কের (Presidency University Controversy ) মধ্যেই এবার পড়ুয়াদের হয়ে ব্যাট ধরলেন ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra)। কামারহাটির বিধায়কের সাফ দাবি, “দুটো ছেলেমেয়ে একসঙ্গে বোটানি, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি থেকে জুলজি সব আলোচনা করতে পারে। কেউ বাধা দিতে পারে না।”
প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ। নীতি পুলিশি চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষের লোকজন। সিসিটিভি বসিয়েও চলছে নজরজারি। পড়ুয়াদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখলেই বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে চিঠি। তলব করা হচ্ছে অভিভাবকদের। রাশ টানা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির কর্মকাণ্ডেও। এ অভিযোগ সামনে আসতেই শুক্রবার রাত থেকে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর। অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এসএফআই। আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদও। এরইমধ্যে মদন বলছেন, “প্রেমটা খুব ডিফিকাল্ট সাবজেক্ট। কবি লিখেছেন বিশ্ব জোড়া ফাঁদ পেতেছি। প্রেম বন্ধ হয়ে গেলে বিয়ে কম হবে। বিয়ে কম হলে ডেলিভারি কম হবে। ডেলিভারি কম হলে স্কুলে পড়ুয়া কম হবে।” তাঁর আরও প্রশ্ন, “গার্জেনদের ডেকে এনে কী দেখাবে? পর্নোগ্রাফি? প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা জানে কতটা কী করা যায়। অথোরিটিকে অনুরোধ প্রেমে হাত দেবেন না প্লিজ।”
যদিও প্রেসিডেন্সির ডিন অরুণকুমার মাইতি অবশ্য সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, কোনওভাবেই কর্তৃপক্ষ নীতি পুলিশি করছে না। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে একটা কাউন্সিলিং সেশনের আয়োজন করা হয়েছিল কয়েকজন পড়ুয়া ও অভিভাবকদের নিয়ে। সেখানে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল মাত্র। কিন্তু, তাহলে ফতোয়ার কথা উঠল কথা থেকে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, পুরোদারে স্বাধীনতা খর্ব করতেই এই চক্রান্ত। সেই স্বাধীনতার পক্ষেই এবার জোরালো সওয়াল করে মদন বলছেন, “প্রেম চিরন্তন। প্রেমের পবিত্র শিখা চিরন্তন জ্বলে। স্বর্গ হতে আসে প্রেম স্বর্গে যায় চলে। প্রেম বন্ধ করা যাবে না।”