SSC: মাত্র ১ বছরের জন্য OMR রাখা হয়েছিল, হঠাৎ কেন এত কম সময়ের জন্য সংরক্ষণ SSC-র?

সুমন মহাপাত্র | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 25, 2024 | 1:59 PM

SSC: SSC চেয়ারম্যান জানান, পুরনো OMR এর ভিত্তিতেই হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল,   OMR সংরক্ষণের কোনও সঠিক সময় রয়েছে কি? সেক্ষেত্রে এসএসসি চেয়ারম্যান জানান, OMR সংরক্ষণের কোনও সঠিক সময় নেই। 

SSC: মাত্র ১ বছরের জন্য OMR রাখা হয়েছিল, হঠাৎ কেন এত কম সময়ের জন্য সংরক্ষণ SSC-র?
OMR শিট নিয়ে এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: আসল OMR থাকলে আইনি প্রক্রিয়া এত জটিল হত না। আগে দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করা হত OMR। কিন্তু ২০১৬ সালের তৎকালীন SSC চেয়ারম্যানের আমলে নিয়ম পরিবর্তন করে ১ বছরের জন্য সংরক্ষিত হচ্ছে OMR। আসল OMR এর স্ক্যানড কপি সিস্টেমে থাকলে অনেক আগেই যোগ্য-অযোগ্যের বাছাই সম্ভব হত। TV9 বাংলার সাক্ষাৎকারে কার্যত স্বীকার SSC চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের।  

SSC চেয়ারম্যান জানান, পুরনো OMR এর ভিত্তিতেই হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল,   OMR সংরক্ষণের কোনও সঠিক সময় রয়েছে কি? সেক্ষেত্রে এসএসসি চেয়ারম্যান জানান, OMR সংরক্ষণের কোনও সঠিক সময় নেই।  সমস্ত ‘অরিজিন্যাল’ OMR-এর ডিজিট্যাল বা স্ক্যানড ভার্সন থাকে। তিনি জানান,  সাধারণত মামলা মোকদ্দমার ক্ষেত্র ছাড়া প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর পুরনো OMR গুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। সেক্ষেত্রে কিন্তু কোনও দোষ নেই।

তিনি আরও জানান, সরকারের কাছ থেকে একটি পরামর্শ এসেছিল। সংরক্ষণ ১০ বছর পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পরেও গোলোযোগ হতে পারে, কিন্তু সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। তবে এটাও ঠিক, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী হলে ২৩ লক্ষ OMR রাখা, পরের  বছর আরও ৩০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ৩০ লক্ষ OMR সংরক্ষণ, এটা সম্ভব হয় না। তাঁর কথায়, “তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে অরিজিন্যাল OMR থাকলে আইনি প্রক্রিয়া অনেক সহজ হত।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশনামা দিয়েছিল, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, এসএসসি যে ওএমআর শিট স্ক্যান করে, তারও কোনও প্রমাণ রাখা হয়নি। কারণ এসএসসি-র সার্ভারে কোনও স্ক্যান কপি নেই। তদন্ত চলাকালীন কোনও স্ক্যান বা মিরর কপি পায়নি সিবিআই। ওএমআর শিটের কোনও স্ক্যানড কপি সার্ভারে না রেখেই হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্রের স্ক্যানড কপি দিয়েছে এসএসসি। তাহলে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের তরফে প্রশ্ন উঠছেই,  নিয়োগ দুর্নীতি ঢাকতেই কি কম সময়ে OMR নষ্ট করার সিদ্ধান্ত?

হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেয়নি এসএসসি। আর তাতেই গোটা প্যানেল বাতিল। যদিও বৃহস্পতিবার এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দাবি করলেন, আদালতের কাছে তিনটি হলফনামা জমা করে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম, একাদশ দ্বাদশের সম্পূর্ণ তালিকা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।

 

Next Article