Kolkata High Court: কয়লা ভাইপো কে? লেডি কিম কে? জানতে চাইল আদালত

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 01, 2023 | 1:37 PM

Culcutta High Court: বিচারপতি জানাতে চান, "ইনি কে? পরিচয় বা কী? মামলাকারী টুইটে কারোর নাম ব্যবহার করেননি।"

Kolkata High Court: কয়লা ভাইপো কে? লেডি কিম কে? জানতে চাইল আদালত
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: রাজ্যে শিশু সুরক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গত ১৩ নভেম্বর টুইটারে একটি পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন থেকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয় শুভেন্দুকে। কমিশনের সেই নোটিস খারিজের আবেদনে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। বুধবার মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, যে টুইটের কথা এখানে উল্লেখ রয়েছে সেখানে ‘কয়লা ভাইপো’-র কথা বলা হয়েছে। বিচারপতি জানাতে চান, “ইনি কে? পরিচয় বা কী? মামলাকারী টুইটে কারোর নাম ব্যবহার করেননি।”

একই সঙ্গে বিচারপতি ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “যিনি অভিযোগ করেছেন তাঁর সঙ্গে এই টুইটের সম্পর্ক কী? তাঁর কি কোনও ক্ষতি বা স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে? অভিযোগ যদি সত্যিও হয়, তাহলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের?”

এ দিন বিচারপতি কমিশনে অভিযোগ দায়েরকারী মহিলা শিল্পা দাসকে প্রশ্ন করেন, “এই টুইটের সঙ্গে আপনার কী সম্পর্ক রয়েছে?” উত্তরে শিল্পা দাসের আইনজীবী রাজর্ষি দত্ত জানান, টুইটের মাধ্যমে শিশু অধিকার লঙ্খণ হতে পারে। একই সঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, লেডি কিম, তিনি কে? কিম জন উং উত্তর কোরিয়ার শাসক বলে জানি। তাঁকেই কি বলা হয়েছে? নাকি নিছকই মজা ছিল?” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পরের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার। ওইদিন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেবেন। অপরদিকে, কমিশনের চেয়ারম্যানের আইনজীবী অনির্বাণ রায় হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন যে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠায়, তাতে বলা হয় ১৩ তারিখ শুভেন্দুর করা টুইটের প্রেক্ষিতে ১৬ নভেম্বর শিল্পা দাস নামে জনৈক মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। শিশু সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন ওই মহিলা। শুভেন্দুর এ ধরনের মন্তব্য শিশুটির নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও কমিশনের নোটিসে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়। তিনদিনের মধ্যে শুভেন্দুকে জবাবও দিতে বলা হয়েছিল। দেশের জুভেনাইল আইন অনুযায়ী কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে না তার ব্যাখ্যাও চায় কমিশন। পাল্টা চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দুও।

Next Article