কলকাতা: বাংলার (Impact of Cyclone Mokha) জন্য বড়সড় অশনিসংকেত না থাকলেও সময়টা ভাল নয় মায়ানমারের। সহজ কথায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার (Cyclone Mokha) কারণে মায়ানমারের (Mayanmar) সামনে মহাদুর্যোগ। শুক্রবার রাতের মধ্যেই চরম তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে মোখা। সাগরে ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ২১০ কিমি/ঘণ্টায়। সমুদ্র উত্তাল থাকবে, তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে কক্সবাজারের দক্ষিণে মায়ানমারের সিতওয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে মোখা। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১৭৫ কিমি/ঘণ্টা।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা যে এদিন অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে দিক পরিবর্তন করবে তা আগেই জানিয়েছিলেন বাংলা আবহাওয়াবিদরা। শুক্রবার বিকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা ছিল। সেই মতোই এগোচ্ছে এই মোখা। চরম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ১৪ মে রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে (sittwe) বন্দরের কাছাকাছি এটির ল্যান্ডফল করার কথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস।
এদিকে এদিন সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৮৭ শতাংশ। তবে আপাতত ২ দিনের জন্য তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে চলেছে বাংলা। আগামীকাল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। রবি, সোম, মঙ্গলেও উপকূলে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার থেকে রোজই বৃষ্টির সম্ভাবনা নদিয়ায়। হাওয়াবদলের হাত ধরে, ৩ দিনে ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে হাওয়া অফিসের। তবে এই রেহাই সাময়িক বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার থেকে ফের তাপপ্রবাহের আশঙ্কা পশ্চিমাঞ্চলে। সোমবারের পর তাপমাত্রা বাড়বে বাকি জেলাতেও। ৩ দিন পর ৩-৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। রাজ্যের পার্বত্য এলাকা দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে আগামী দু-তিন দিনে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।