কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগের (Primary Recruitment) ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছে আদালত। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠকে বসেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি গৌতম পাল। জানালেন, হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছে। গৌতমবাবু বললেন, ‘এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা অ্যাপিল করতে যাচ্ছি। আমরা দ্বর্থহীন ভাষায় বলছি, যে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক এখন চাকরি করছেন, তাঁরা কেউ এখন অপ্রশিক্ষিত নেই।’ পর্ষদ সভাপতির দাবি, বোর্ড প্রত্যেককে ওডিএল মোডে প্রশিক্ষিত করিয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়েছে। এনসিটিই নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ‘এখন আর কেউ অপ্রশিক্ষিত নেই।’
গৌতম পাল জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনামা এখনও পর্ষদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। বোর্ডের আইনি পরামর্শদাতাদের সঙ্গে কথা বলছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে তাঁদের থেকে। পর্ষদ সভাপতি বললেন, ‘আমরা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, যাঁরা এখন চাকরি করছেন, তাঁদের সমস্ত যোগ্যতামান রয়েছে। তাঁদের চাকরি চলে গেলে, পর্ষদ সেই দায়িত্ব অস্বীকার করবে… তা হতে পারে না। আমি নির্দ্বিধায় বলছি, পর্ষদ সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবে। বোর্ড যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’
উল্লেখ্য, প্রাথমিকের ২০১৬ সালের প্যানেলে অনেকের অ্যাপটিটিউড টেস্টে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আদালতে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি বললেন, ‘আমরা হলফনামা জমা দিয়েছিলাম আদালতে। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেককে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই প্রমাণিত অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়েছিল।’
একইসঙ্গে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ থেকে এদিন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য। তবে পর্ষদ সভাপতি বলছেন, ‘আজকের নির্দেশ আমরা মেনে নিচ্ছি কি না, সেটির উপর নির্ভর করছে তিন মাসের বিষয়টি। আমরা যদি উচ্চ আদালতে যাই, সেক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিকতার পরিবর্তন হতে পারে।’