কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির (Primary Recruitment Scam) মামলায় কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে ৩৬ হাজার নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) একক বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। একইসঙ্গে আদালতের মন্তব্য, যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) আমলে। সেক্ষেত্রে সরকার যদি মনে করে তাহলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য খরচ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির থেকে নিতে পারে।
উল্লেখ্য, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আরও জানানো হয়েছে, অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যে ৩৬ হাজার জনের নিয়োগ বাতিল হচ্ছে, তাঁরা আপাতত চার মাস প্যারা টিচারের বেতন নিয়ে কাজ করতে পারবেন। একইসঙ্গে আদালতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যাঁদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তাঁরা যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরাও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।
ওই ৩৬ হাজার জন এই চার মাস তাঁরা সম্পূর্ণ বেতন পাবেন না। যাঁরা অপ্রশিক্ষিত, তাঁদের নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। তবে প্যানেলে যাঁরা প্রশিক্ষিত ছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকছে না। তাঁদের চাকরি বহাল থাকছে বলে জানিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। এরই মধ্যে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নতুন করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য যাবতীয় খরচ প্রয়োজন হলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির থেকে তুলতে পারে রাজ্য।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এক মামলায় মানিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল আদালত। দেশে বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি রয়েছে, সেই সবও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের থেকে। আদালতের থেকে বলা হয়েছিল, জরিমানার টাকা না মেটানো পর্যন্ত সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না।