Mukul Roy: মুকুল রায় PAC চেয়ারম্যান কীভাবে? হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিধানসভার অধ্যক্ষ
Mukul Roy PAC Case: এই শুনানির প্রতিক্রিয়ায় বিধানসভার অধ্যক্ষ অবশ্য জানিয়ে ছিলেন, "আমাদের কাছে আদালতের বক্তব্য এসে পৌঁছেছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। যা করার বিধানসভার নিয়ম ও আইন মেনে করব। বিধানসভার নিজস্ব আইন আছে। হাইকোর্টের আলাদা আইন আছে।"
কলকাতা: মুকুল রায়ের পিএসি (PAC) চেয়ারম্যান থাকা নিয়ে মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। গত ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাটা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিধায়ক মুকুল রায়কে পিএসি (PAC) চেয়ারম্যান রাখা হবে কি হবে না সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biman Banerjee)। ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার ঠিক দুই দিন আগে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
কলকাতা হাইকোর্টের গত ২৮ অক্টোবরের শুনানিতে বলা হয়েছিল আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিধানসভার অধ্যক্ষ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে পদক্ষেপ করব কলকাতা হাইকোর্ট। এই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার শীর্ষ আদালতে মামলা করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
প্রসঙ্গত, প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি-র চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এই ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতি যথেষ্ট সরগরম হয়েছে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলের নাম ঘোষণা করার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ করতে যায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল। এমনকী মুকুল রায় এখনও এই পদে থাকায়, পিএসি-র দ্বিতীয় বৈঠকও বয়কটও করছেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
এই প্রেক্ষিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর বক্তব্য ছিল বিধানসভার বিরোধী নেতা ছাড়া কাউকে পিএসি চেয়ারম্যান করা যায় না। এই প্রেক্ষিতে আদালত জানায়, এর নির্ণায়ক হবেন একমাত্র বিধানসভার স্পিকার। তার পরেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, “সত্যি হল যে, স্পিকার বেআইনি কাজ করেছেন। এমন একজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি দল ছেড়েছেন (মুকুল রায়)। সত্যি যদি তাঁর পদ খারিজ হয়ে যায়, তাহলে তিনি বিধায়ক কীভাবে থাকবেন।” তাহলে পিএসি চেয়ারম্যানই মুকুল হবেন কীভাবে? প্রশ্ন তোলে আদালত।
মুকুল রায় খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিকে পিএসি চেয়ারম্যান বিরোধী নেতাদের কেউ হয়ে থাকেন। তাই মুকুল রায়কে ওই পদ থেকে সরাতে আবেদন আদালতে আবেদন করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, যাঁর বিধায়ক পদে থাকা না থাকা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে, তাঁকে কীভাবে ওই পদে বসানো হয়েছে? এর পর মুকুল রায়ের ওই পদে থাকা নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট।
এই শুনানির প্রতিক্রিয়ায় বিধানসভার অধ্যক্ষ অবশ্য জানিয়ে ছিলেন, “আমাদের কাছে আদালতের বক্তব্য এসে পৌঁছেছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। যা করার বিধানসভার নিয়ম ও আইন মেনে করব। বিধানসভার নিজস্ব আইন আছে। হাইকোর্টের আলাদা আইন আছে।” আর তার পরেই হাইকোর্টে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঠিক দুই দিন আগে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ কতটা যুক্তিযুক্ত তা বিচার করুক শীর্ষ আদালত। এখন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের , কী হয় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee : সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা