মিনিটে ৬০০০ রাউন্ড ফায়ার করতে পারে, খিদিরপুরে গেলেই দেখা যাবে যুদ্ধজাহাজের সেই বন্দুক, নোঙর করেছে ‘খঞ্জর’ ও ‘কোরা’
Indian Navy: খুকরি-শ্রেণির গাইডেড মিসাইল এই করভেট আইএনএস খঞ্জর। মূলত তিন রকমের বন্দুক রয়েছে এই জাহাজে- দূরপাল্লার, মাঝারিপাল্লার এবং স্বল্পপাল্লার। এখানে এমনও বন্দুক রয়েছে যা মিনিটে ৬০০০ রাউন্ড ফায়ার করতে পারে। ধাপে ধাপে এই জাহাজের অস্ত্রশস্ত্র এবং রাডার সিস্টেমকে আরও অত্যাধুনিক এবং শক্তিশালী করা হয়েছে।

কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে পাহারাদার হয়ে দেশকে সুরক্ষা দেয় ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী দুই শক্তিশালী কর্ভেট যুদ্ধজাহাজ। ইস্টার্ন বা পূর্বাঞ্চলীয় ফ্লিটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ‘আইএনএস খঞ্জর’ এবং ‘আইএনএস কোরা ‘। এবার খিদিরপুর ডকে নোঙর করল সেই দুই যুদ্ধজাহাজ। ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রে খবর, বিভিন্ন মিশনে অংশ নেওয়া এই দুটি যুদ্ধজাহাজ অতীতে বিভিন্ন জায়গায় নিজের দক্ষতা এবং শক্তিশালী মহড়া প্রদর্শনে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
দু’দিনের জন্য সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হল সেই দুটি যুদ্ধজাহাজ। ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রে খবর, গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্সে এই দুটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি হয়েছে। ১৯৮৮ সালে আইএনএস খঞ্জর তৈরি হয় এবং ১৯৯১ সালে তা নৌবাহিনীর হাতে যায়। এরপর একের পর এক মিশনে অংশ নিয়েছে মিসাইল বহনকারী এই যুদ্ধজাহাজ।
খুকরি-শ্রেণির গাইডেড মিসাইল এই করভেট আইএনএস খঞ্জর। মূলত তিন রকমের বন্দুক রয়েছে এই জাহাজে- দূরপাল্লার, মাঝারিপাল্লার এবং স্বল্পপাল্লার। এখানে এমনও বন্দুক রয়েছে যা মিনিটে ৬০০০ রাউন্ড ফায়ার করতে পারে। ধাপে ধাপে এই জাহাজের অস্ত্রশস্ত্র এবং রাডার সিস্টেমকে আরও অত্যাধুনিক এবং শক্তিশালী করা হয়েছে।
এতে রয়েছে চারটি P-20M (SS-N-2D) AShMs2 মিসাইল ব্লক। যেখানে থেকে মিসাইল ছোড়া হয়। রয়েছে দুটি Strela-2M (SA-N-5) SAM বন্দুক। একটি AK–176 76mm বন্দুক এবং দুটি 30mm AK-630 বন্দুকও রয়েছে, যেগুলি দিয়ে নিমেষে ধ্বংস করা যায় শত্রুকে। শত্রুদের সহজেই ধ্বংস করতে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট এবং আন্টি শিপ রাডার সিস্টেম বসানো হয়েছে। রয়েছে হেলিপ্যাডও।
আইএনএস খঞ্জরের পাশাপাশি আইএনএস কোরা আরও বেশি আধুনিক এবং শক্তিশালী। ১৯৯৮ সালে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের হাতে তৈরি হয় এই কোরা-শ্রেণির গাইডড মিসাইল কর্ভেট আইএনএস কোরা। এটি একটি অ্যান্টি-শিপ মিসাইল বহন করে। এটির নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে, যা এটিকে শত্রুদের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে এবং আক্রমণ করতে সাহায্য করে। এটির একটি শক্তিশালী রাডার এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুটও রয়েছে।
১৬টি Kh-৩৫ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল ব্লক দিয়ে সজ্জিত এই জাহাজ। রয়েছে দুটি Strela-2M (SA-N-5) SAM বন্দুক, একটি AK–176 76mm বন্দুক এবং দুটি 30mm AK-630 বন্দুক। যেগুলি দিয়ে নিমেষে নিকেশ করা হয় শত্রুকে। শত্রুদের সহজেই ধ্বংস করতে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট এবং অ্য়ান্টি শিপ রাডার সিস্টেম বসানো হয়েছে। রয়েছে হেলিপ্যাডও। শত্রুদের সহজেই ধ্বংস করতে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট এবং অ্যান্টি শিপ রাডার মোতায়েন রয়েছে এই কর্ভেটে।
