কলকাতা: কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর কেন হামলা চালানো হয়েছে? তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। উঠে আসছে নানা তত্ত্ব। হামলায় মাস্টারমাইন্ড ধৃত আফরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের সন্ধান পেতে চাইছে পুলিশ। আফরোজকে রবিবার আলিপুর পুলিশ আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
শুক্রবার কসবায় বাড়ির সামনে হামলা চালানো হয় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপর। ঘটনায় ধৃত যুবরাজ সিং ও আহমেদ খানকে জিজ্ঞাসা করে আফরোজের নাম উঠে আসে। বর্ধমান থেকে পালানোর সময় নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়েন তিনি। এই হামলার পিছনে আরও অনেকে যুক্ত আছে কি না, তা জানবার জন্য আফরোজকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে এদিন আদালতে জানান পুলিশের আইনজীবী। সব শুনে আলিপুর পুলিশ আদালত আফরোজকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
হামলার জন্য কতগুলি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তাও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের আইনজীবী বলেন, আরও অস্ত্র আছে এদের কাছে। বিহারের কোথা থেকে অস্ত্র এসেছে জানতে হবে। ঘটনার পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে পুলিশ বিহারে যেতে পারে।
এদিন, আবার কসবার সুশান্তর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে খালে ডুবুরি নামিয়েছিল পুলিশ। তারা মনে করছে, হামলার পর অপর আততায়ী ওই খালে তার আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালিয়েছে। যদিও এদিন কিছু পাওয়া যায়নি।