AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর দাবি কি আদৌ গ্রহণযোগ্য? হাইকোর্টে প্রশ্ন রাজ্যের

এই প্রশ্নও উঠে যায় যে, মামলাটিকে স্থানান্তরিত করার আদৌ কোনও গ্রহণযোগত্যা রয়েছে কি না। এই নিয়ে সোমবার সোমবার দীর্ঘ বিতণ্ডা চলে হাইকোর্টে।

নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর দাবি কি আদৌ গ্রহণযোগ্য? হাইকোর্টে প্রশ্ন রাজ্যের
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
| Updated on: May 31, 2021 | 4:48 PM
Share

কলকাতা: কোন আদালতে ঠিক হতে চলেছে নারদ মামলার ভবিষ্যৎ? সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আরও একপ্রস্থ শুনানির পরও ফয়সালা রইল অধরাই। বরং রাজ্য সরকার এবং মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, যেভাবে এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চ থেকে বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, তা আইনসিদ্ধ নয়। উলটে এই প্রশ্নও উঠে যায় যে, মামলাটিকে স্থানান্তরিত করার আদৌ কোনও গ্রহণযোগত্যা রয়েছে কি না। এই নিয়ে সোমবার সোমবার দীর্ঘ বিতণ্ডা চলে হাইকোর্টে। মঙ্গলবার ফের একবার নারদ মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে।

এ দিন মামলার শুনানি শুরু হতেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত নিজের যুক্তি সাজিয়ে বলেন, স্থানান্তর সম্পর্কিত মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে শোনা যায় না। যে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠিয়েছেন তাঁরা এই মামলার শুনানিতে নতুন করে অংশীদার হতে পারবেন না বলেও দাবি করেন তিনি। যেহেতু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই একাই এসেছিল এবং অভিযুক্তদের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনা হয়নি, সেই কারণে এই মামলা শোনার অর্থ হল আদালতের সময় নষ্ট করা। এমনটাও বলতে শোনা যায় রাজ্যের এজিকে।

যার জবাবে বৃহত্তর বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “আদালত সব বিষয় খতিয়ে দেখবে। তবে এটা বলবেন না যে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন ঠিক হয়নি। বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে।” আদালতের নির্দেশ নামায় এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ক্ষেত্রে কিন্তু দুই বিচারপতির মধ্যে কোনও মত পার্থক্য নেই।

আরও পড়ুন: এখনও বিঁধে নারদ কাঁটা! নারদ মামলা কি অন্যত্র সরানো সম্ভব? ফের হাইকোর্টে সিবিআই

বৃহত্তর বেঞ্চের আরেক সদস্য বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনও জানিয়ে দেন, মামলাটির ক্ষেত্রে যে যে বিষয় উঠে আসছে তা তাঁরা শুনবেন। রায়ের ক্ষেত্রেও সবরকম বিষয়ে নজর রাখা হবে। তবে রাজ্যের পক্ষ থেকে বারবারই দাবি করা হয়, মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা থাকলে সেটা আলোচনা করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মামলাটির কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। কারণ দেখিয়ে রুলবুকের কথা উল্লেখ করে কোন কোন ক্ষেত্রে বৃহত্তর বেঞ্চ গড়া যায় তা নিয়ে যুক্তি দেন এজি কিশোর দত্ত এবং ফিরহাদদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের আইনজীবীদের তুলনায় এ দিন কিছুটা চুপই ছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। শেষে তিনি আদালতের সামনে প্রশ্ন করেন, গোটা দেশ জানতে চায়, সাংবিধানিক বেঞ্চ কি গ্রহণযোগ্যতার ইস্যু দেখিয়ে মামলা না শুনতে পারে? পালটা কল্যাণও তোপ দেগে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, গোটা দেশ এটাও জানতে চায় যে রুল বুক বাদ দিয়ে কীভাবে মামলা হতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘বিচারপতিরা বিদ্রূপের পাত্র হয়ে উঠেছেন’, নারদ মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে বিস্ফোরক চিঠি বিচারপতি সিংহের