AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rat Fever: ইঁদুর জ্বর মহামারির আকার নিচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Rat Fever: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌগত ঘোষ কিন্তু শোনাচ্ছেন রীতিমতো উদ্বেগের কথা। গন্ধ পাচ্ছেন এপিডেমিকের। তিনি বলছেন, “বিষয়টা খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের রাজ্যে কিন্তু লেপ্টোস্পাইরা বিভিন্ন জেলা, কলকাতাতে হয়, কিন্তু বিক্ষিপ্তভাবে। কিন্তু এই প্রথম একটা নির্দিষ্ট জায়গায় অনেকটাই বেশি মাত্রায় হচ্ছে, যাকে আমরা মহামারি বা এপিডেমিক বলি।”

Rat Fever: ইঁদুর জ্বর মহামারির আকার নিচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2025 | 9:24 PM
Share

কলকাতা: প্রথমে ছিল জন্ডিস, কিন্তু তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে লেপ্টোস্পাইরা। সোজা কথায় লেপ্টোস্পাইরা ও জন্ডিস কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকরমারি গ্রামে। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগী। ইঁদুর জ্বরই কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে স্বাস্থ্য ভবনের? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌগত ঘোষ কিন্তু শোনাচ্ছেন রীতিমতো উদ্বেগের কথা। গন্ধ পাচ্ছেন এপিডেমিকের। তিনি বলছেন, “বিষয়টা খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের রাজ্যে কিন্তু লেপ্টোস্পাইরা বিভিন্ন জেলা, কলকাতাতে হয়, কিন্তু বিক্ষিপ্তভাবে। কিন্তু এই প্রথম একটা নির্দিষ্ট জায়গায় অনেকটাই বেশি মাত্রায় হচ্ছে, যাকে আমরা মহামারি বা এপিডেমিক বলি। ভারতের অনেক জায়গাতেই আমরা এই এপিডেমিক দেখেছি। বিশেষ করে সুরাটে, ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি। পশ্চিমবঙ্গে এই বিষয়টি প্রথম।”  

বর্তমানে বাংলায় ৪৪টি সরকার হাসপাতালে লেপ্টোস্পাইরার পরীক্ষা হয় বলে জানাচ্ছেন এই চিকিৎসক। সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালেও রয়েছে পরিকাঠামো। তাই উপসর্গ দেখলেই টেস্টের কথা বলছেন তিনি। সৌগতবাবু বলছেন, “এটা আসলে জলবাহিত রোগ। যাঁরা মাছ ধরার কাজ করেন, গ্রামে-গঞ্জে চাষাবাদের কাজ করেন তাঁদের এই রোগ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে উপসর্গ দেখা দিলেই টেস্ট করিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এই প্রথম দেখা গেল এত বেশি মাত্রায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হচ্ছে। তাই আশপাশের এলাকায় আরও ভাল করে এরকম কেস আছে কিনা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।” 

যদিও জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদার যদিও বারবার আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু কেন? তাঁর কথায়, “আতঙ্কিত হওার কারণ নেই। কারণ এর চিকিৎসা রয়েছে। আমরা হেলথ ক্যাম্প করছি। বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মীরা যাচ্ছেন। এলাকায় থাকা জলের ট্যাঙ্কগুলি সাফাই করা হচ্ছে। বাড়িতে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে।”