সৌরভ দত্ত: করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে ভেবেই নিয়েছিল রাজ্যবাসী। এরইমধ্যে বড় বিপদের আশঙ্কার কথা শোনাল স্বাস্থ্য দফতর। বাংলায় করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। দৈনিক করোনা বুলেটিন পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত ওয়েবিনারে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। একইসঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে আর কোনও টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না বলেও বার্তা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কিন্তু এমন আশঙ্কার কারণ কী? স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মানুষ এখন অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাস্ক পরছেন না, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার কাজ করছে নির্বাচন। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি, মিটিং-মিছিল-জমায়েতে বিপদের সম্ভাবনা হু হু করে বেড়ে চলেছে।
গত বছর ১৭ মার্চ প্রথম কোভিড আক্রান্তের হদিশ মেলে এ রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এরপর সংক্রমণের রেখচিত্র যেভাবে উঠেছে তা পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে মহারাষ্ট্রের থেকে দেড় দু’মাস পিছিয়ে ছিল বাংলা। অর্থাৎ দেড় মাস আগে মহারাষ্ট্রে যে ছবি ছিল, পরবর্তী দেড় মাসে তা ধরা পড়েছে বাংলায়।
আরও পড়ুন: অবশেষে জবাব পেল সিবিআই! আগামিকাল দেখা করবেন, চিঠিতে জানালেন অভিষেকের স্ত্রী
স্বাস্থ্য দফতর বলছে, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণ ১১৯-এ নেমেছিল। শতাংশের নিরিখে যা .৭ শতাংশ। এখন তা ১.০২ হয়ে গিয়েছে। গত বছরও এ ছবিটাই দেখা গিয়েছিল। প্রথম দিকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন সংক্রমিত হচ্ছিলেন। পরে তা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। স্বাস্থ্য কর্তারা বলছেন, এগুলিই অতিমারির সঙ্কেত। বুঝিয়ে দেয় বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর স্পষ্ট বার্তা, বৃহস্পতিবারের মধ্যে নথিভুক্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নিতে হবে। টিকা না নিলে তাঁরা আর স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। এই টিকা নেওয়া কেন জরুরি তার ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের ৩০ শতাংশ জনসংখ্যায় স্বাভাবিক নিয়মে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। ফলে ৭০ শতাংশ জনসংখ্যাকে রক্ষা করতে গেলে টিকাকরণ জরুরি।
সৌরভ দত্ত: করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি স্বাভাবিকের পথে ভেবেই নিয়েছিল রাজ্যবাসী। এরইমধ্যে বড় বিপদের আশঙ্কার কথা শোনাল স্বাস্থ্য দফতর। বাংলায় করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। দৈনিক করোনা বুলেটিন পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত ওয়েবিনারে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। একইসঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে আর কোনও টালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না বলেও বার্তা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কিন্তু এমন আশঙ্কার কারণ কী? স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মানুষ এখন অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাস্ক পরছেন না, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধিও। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার কাজ করছে নির্বাচন। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচি, মিটিং-মিছিল-জমায়েতে বিপদের সম্ভাবনা হু হু করে বেড়ে চলেছে।
গত বছর ১৭ মার্চ প্রথম কোভিড আক্রান্তের হদিশ মেলে এ রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এরপর সংক্রমণের রেখচিত্র যেভাবে উঠেছে তা পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে মহারাষ্ট্রের থেকে দেড় দু’মাস পিছিয়ে ছিল বাংলা। অর্থাৎ দেড় মাস আগে মহারাষ্ট্রে যে ছবি ছিল, পরবর্তী দেড় মাসে তা ধরা পড়েছে বাংলায়।
আরও পড়ুন: অবশেষে জবাব পেল সিবিআই! আগামিকাল দেখা করবেন, চিঠিতে জানালেন অভিষেকের স্ত্রী
স্বাস্থ্য দফতর বলছে, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমণ ১১৯-এ নেমেছিল। শতাংশের নিরিখে যা .৭ শতাংশ। এখন তা ১.০২ হয়ে গিয়েছে। গত বছরও এ ছবিটাই দেখা গিয়েছিল। প্রথম দিকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন সংক্রমিত হচ্ছিলেন। পরে তা ১০০ ছাড়িয়ে যায়। স্বাস্থ্য কর্তারা বলছেন, এগুলিই অতিমারির সঙ্কেত। বুঝিয়ে দেয় বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর স্পষ্ট বার্তা, বৃহস্পতিবারের মধ্যে নথিভুক্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নিতে হবে। টিকা না নিলে তাঁরা আর স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। এই টিকা নেওয়া কেন জরুরি তার ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের ৩০ শতাংশ জনসংখ্যায় স্বাভাবিক নিয়মে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। ফলে ৭০ শতাংশ জনসংখ্যাকে রক্ষা করতে গেলে টিকাকরণ জরুরি।