কলকাতা : মনোনয়ন পেশ করাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাঙড়। মঙ্গলবারের পর বুধবারও সংঘর্ষের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। বাধা পেতে হয়েছে সাংবাদিকদেরও। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে হাজির হলেন নওশাদ সিদ্দিকী। বুধবার দুপুরেই নবান্নে প্রবেশ করতে দেখা যায় আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদকে। বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েই এদিন নবান্নে গিয়েছিলেন তিনি। তবে কথা বলার সুযোগ পাননি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে, চিঠি দিয়েই বেরিয়ে গিয়েছেন।
মঙ্গলবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের পরিস্থিতি। আইএসএফ নেতাদের মনোনয়ন পেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। লাঠি নিয়ে তাণ্ডব, বোমাবাজির মধ্যে ধরা পড়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ছবি। আইএসএফ নেতাদের মারধর ও মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে।
পুরো পরিস্থিতির কথা জানাতেই এদিন নবান্নে গিয়েছিলেন নওশাদ। প্রবেশ করার সময় তিনি বলেন, “মনোনয়ন সহ আরও নানা সমস্যা আছে। রাজ্যের অভিভাবিকা মুখ্যমন্ত্রীকে সে সব জানাতে এসেছি।” পরে নবান্নে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকেন তিনি। পরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে বেরিয়ে যান।
নবান্ন থেকে বেরিয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, “ভাঙড়ের বিরোধী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই অতিষ্ট। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে অভিভাবিকার কাছে সব জানাতে এসেছিলাম। আজও যেভাবে শওকত সাহেব, আরাবুল সাহেব ব্লক অফিস ঘিরে ফেলেছেন, তাতে আইএসএফ মনোনয়ন দিতে পারছে না। মনে হল, মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো দরকার।” তিনি আরও বলেন, “আমি যে তৃণমূল করে তারও জনপ্রতিনিধি, আইএসএফ-এরও। আমি চাই প্রত্যেক দলই সুরক্ষিত থাকুক।”
আগাম মেইল করেই এদিন নবান্নে এসেছিলেন নওশাদ। তবে মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। নওশাদ বলেন, “আমার সঙ্গে দেখা করার মতো যথেষ্ট সময় মুখ্যমন্ত্রীর ছিল না।” প্রয়োজনে আগামিদিনে ফের দেখা করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ওই সময় নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।