কলকাতা: ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের থাকা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। এরইমধ্যে দলের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলায় তাঁরা একাই লড়ছেন। এদিকে তৃণমূল থাকার কারণেই জোটে থাকার ক্ষেত্রে তীব্র আপত্তি ছিল আইএসএফের। এবার তাঁদের দেখা যাবে? যদিও প্রশ্ন শুনে খানিক ঘুরিয়ে উত্তর দিতে দেখা গেল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। জোটে ঢোকা নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশাও বজায় রাখলেন। প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-সিপিআইএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল আইএসএফ। তৈরি হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। তবে আবার সংযুক্ত মোর্চার দেখা মিলবে লোকসভা ভোটের মুখে? এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন না ‘ভাইজান’। বরং ইতিবাচক মনোভাবের কথা বললেন নওশাদ।
নওশাদের সাফ কথা এখনই জোটে যাব কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত আমরা এখনই নিতে পারব না। আমরা বিষয়টা আমাদের রাজ্য কমিটিতে আলোচনা করব। তারপর জানাতে পারব। তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে বলে আইএসএফ এখনই ওর মধ্যে ঢুকে যাবে এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সবার একটা নীতি আছে। তার বাইরে আমরা যেতে পারি না। তবে আমাদের অবস্থান একটা স্পষ্ট রয়েছে। তৃণমূল যে জোটে রয়েছে সেখানে আমরা নেই।
প্রসঙ্গত, আগেও ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের থাকা নিয়ে লাগাতার আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল নওশাদকে। এবার জোটে সেই তৃণমূল কার্যত পদ্ম পাতায় জলের মতো টলমল করলে ফের একহাত নিলেন আইএসএফ বিধায়ক। স্পষ্ট বলেন, ভবিষ্যতবাণী নয়, অতীত রেকর্ড দেখে বলেছিলাম। উনি কোনওদিন বিজেপি দুর্বল হোক চান না। ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে মমতাকে নিয়ে। আগেই বলেছিলাম কতজন শেষ পর্যন্ত এই জোটে থাকছেন, আর বেরিয়ে যাচ্ছেন সেটা দেখবেন। তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই চায় না কেন্দ্রে বিজেপি দুর্বল হোক। কেন্দ্রে বিজেপি থাকলেই বিজেপির ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের ভোটব্যঙ্কটা পকেটে রাখার চেষ্টা করবেন।
এখানেই না থেমে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, আমরা চাল চোর, গরু পাচারকারী, কয়লা চোর, বাচ্চাদের মিড ডে মিলে যারা হাত দেয়, যাঁরা মেধা চুরি করেছে তাঁদের সঙ্গে কোনও জোটে যাব না। যাঁদের দ্বারা গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে তাঁদের সঙ্গে কোনও জোট নয়। আমরা আমাদের মতো পরিকল্পনা করেছি। আমরা যেখানে যেখানে প্রার্থী দেব সেখানে আমাদের তৃণমূল স্তরের সংগঠন শক্তিশালি করছি। ইন্ডিয়া জোটে কে থাকছে, কে বেরিয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।