Ishapore Rifle Factory: ১.৭ কোটি টাকার তছরূপে সিবিআই জালে হিসাবরক্ষক! ফের শিরোনামে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 22, 2021 | 10:10 AM

Ishapore Rifle Factory: জানা গিয়েছে, ২০১২-২০১৬ সালের মধ্যে ১.৭ কোটি টাকার তছরূপ হয়েছে। তার সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তি।

Ishapore Rifle Factory: ১.৭ কোটি টাকার তছরূপে সিবিআই জালে হিসাবরক্ষক! ফের শিরোনামে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি
ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: ফের শিরোনামে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি (Ishapore Rifle Factory)। আর্থিক তছরূপের অভিযোগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার এক। গ্রেফতার করা হয়েছে ক্যাশিয়ারকে। ধৃতের নাম মধুসূদন মুখোপাধ্যায়। ধৃতকে বুধবারই আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, ২০১২-২০১৬ সালের মধ্যে ১.৭ কোটি টাকার তছরূপ হয়েছে। তার সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তি। মধুসূদন কোনও বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

২০১৮ সালে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির একটি বড় চক্রের পর্দাফাঁস হয়। জানা যায়, কারখানা থেকে পাচার হত অস্ত্রের অংশ। আরও বিস্ফোরক তথ্য যে, সেই অংশ তুলে দেওয়া হত বিহারের মাওবাদীদের হাতে। ওই পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় কারখানারই কর্মী বিকাশ সাউ ও শম্ভু ভট্টাচার্যকে। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে তারা।

ওএফবি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে। এসটিএফ সূত্রে জানা যায়, ওই কর্মী রাইফেলের ট্রিগার, ব্যারেলের মতো অংশ কারখানার বাইরে গোপনে পাচার করত। পাচার হত ম্যাগাজিনও। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীদের হাতে তুলে দেওয়া হত সেগুলি। সেই অংশ ব্যবহার করেই অস্ত্র তৈরি করত মাওবাদীরা।

সে সময় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত জাতীয় স্তরে তোলপাড় হয়। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। একটি অস্ত্রের প্রত্যেকটি অংশে বিশেষ নম্বর ‘মার্কিং’ করা হতে থাকে। ওই অংশগুলি দেখেই জোড়া লাগানো হত। এর ফলে অতিরিক্ত কোনও অংশ বাইরে পাচারে সম্ভাবনা এড়ানো যায়।

এতদিনে ফ্যাক্টরির প্রত্যেক কর্মীর কার্যকলাপের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হত। তবে তারই মাঝে বছর তিনেকের ব্যবধানে আবার প্রকাশ্যে আসে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ব্যক্তি বড় কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনেও কোনও মাওবাদী চক্র সক্রিয় কিনা, এই টাকা আদতে কোথায় যেত, কোন কাজে ব্যবহৃত হত, তারই তথ্য তালাসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। তবে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে, যে সময় অস্ত্রের অংশ পাচার হয়েছে, সেই সময়ের ব্যবধানেও ফ্যাক্টরিতে টাকা নয়ছয় হয়েছে।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: রাজ্য সভাপতির পদ নেই, বাংলায় দলের হয়ে এবার ঠিক কোন দায়িত্বে দিলীপ? স্পষ্ট করলেন নিজেই

Next Article