কলকাতা : জানুয়ারিতে কলকাতায় আসার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে বাতিল হয়ে গেল সেই সফর। আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি কলকাতায় আসার কথা ছিল বিজেপি নেতার। বুধবার দলের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আপাতত তাঁর কলকাতা সফর স্থগিত রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে তিনি কোন দিন আসবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমে নির্বাচন। তার আগেই কলকাতায় আসার কথা ছিল তাঁর। সাংগঠনিক কর্মসূচি ছিল বলেই বিজেপি সূত্রের খবর। যদিও এখনও কোনও কর্মসূচির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তার আগেই বাতিল হল কর্মসূচি। আপাতত তিনি আসছেন না কলকাতায়।
বিজেপির তরফে নির্বাচনও পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ জানুয়ারি সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা ছিল জেপি নাড্ডার। ৩১ জানুয়ারি সভা করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তবে অমিত শাহের সভার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি এখনও।
সদ্য, বিজেপির রাজ্য সংগঠনে একেবারেই খোলনলচে বদলে ফেলেছে বিজেপি। প্রথমে রাজ্য সভাপতি বদল করা হয়েছে। এরপরই সম্প্রতি নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়েছে, জেলা সভাপতি বদল হয়েছে। সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই বিএল সন্তোষ কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসে বৈঠক করেছেন। এরপরও বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ। রাজ্য সংগঠনের রদবদলে অনেকেই অসন্তুষ্ট বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি, বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন একাধিক নেতা। মঙ্গলবারই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন, এটা বিজেপির আভ্যন্তরীণ বিষয়, দলের অন্দরেই সেটা মিটিয়ে ফেলা হবে। মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা ঘটেছে, তাতের দলের অন্দরের চিড় আরও প্রকট হয়েছে। একদিকে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করেছেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নাড্ডার কলকাতা সফর গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার বিজেপির মতুয়া বিদ্রোহের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে শাসক দলের মুখপত্র জাগো বাংলায় । বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া তিন নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ রাখছেন বলেও দাবি করা হয়েছে তাতে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, শাসক দলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপির অন্দরে ত্রিমুখী লড়াই সামলাতে পারছেন না সুকান্ত-শুভেন্দু। সেখানে দিলীপ নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক ক্যারিশ্মার পক্ষে সওয়ালও করা হয়েছে জাগো বাংলায়।