কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরেই গন্ধটা নাকে আসছিল প্রতিবেশীদের। মঙ্গলবার সকালে তা আরও প্রকট হয়ে ওঠায় তাঁরা গন্ধের উৎস সন্ধানে বের হন। পাশের বাড়িরই বন্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বুঝতে পেরে থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে ঘর থেকে উদ্ধার করে গৃহকর্তার পচাগলা দেহ। মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিজয়গড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, প্লাস্টিকে মোড়ানো ছিল দেহটি। পচে দেহটি কার্যত গলে গিয়েছে। মৃতের নাম নিধির কুণ্ডর (৬৩)। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।
জানা যাচ্ছে, নিধির তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে মা সন্তোষপুরে তাঁর বোনের বাড়িতে যান। ক্যান্সারে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। মঙ্গলবার সকালে ভগ্নিপতি তাঁকে ফোন করেন। কিন্তু তাঁকে না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীদের মারফত জানতে পারেন, ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এরপরই তাঁরা খবর দেন থানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। দেহটি প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া ছিল। শরীরের পচন ধরেছিল। বেশ কিছু দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ ঘর খতিয়ে দেখছে। জানা যাচ্ছে, ঘর থেকে খোয়া গিয়েছে বৃদ্ধের মোবাইল, ল্যাপটপ। ঘর থেকে আর কী কী খোয়া গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
জানা যাচ্ছে, ওই বৃদ্ধ অবসরপ্রাপ্ত ছিলেন। যেহেতু প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় ছিল দেহটি, তাই এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে করছেন না তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সব দিগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদেরও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।