কলকাতা: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু নিয়ে যখন রাজ্যে তোলপাড় চলছে। সেইসময়ই মুখ্যমন্ত্রীর ফোন নিহত ছাত্রের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
নদিয়ার বগুলার ছেলে স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল সে। তার মা জানান, ছেলের এখনও ১৮ বছর হয়নি। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল স্বপ্নদীপের স্বপ্ন ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে। সেই পড়তে আসা যে কাল হবে, এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না পরিবার। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে আসছে র্যাগিংতত্ত্ব। যাদবপুরের মেন হস্টেলে থাকতেন স্বপ্নদীপ। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ১০ জনকে তলবও করেছিল যাদবপুর থানা। তবে একজনও থানায় যাননি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াও পুলিশের নজরে।
স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। ছেলের মৃত্যুর যথাযথ বিচার চাই, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পুত্রশোকে দিশাহারা মা। ফুঁসছে নদিয়ার বগুলা, যেখানে জন্ম থেকে ১৭টা বছর কেটেছে স্বপ্নদীপের। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বর্তমানে র্যাগিং সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশাবলী ও যতগুলি আইন ও নিয়মাবলী আছে তা নিয়ে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। নিয়ম মেনে তৈরি হবে কমিটি।
ইতিমধ্যেই যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যাদবপুরের ঘটনায় যখন প্রশাসনিক ব্যর্থতা খুঁজেছেন, তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পাল্টা দাবি করেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন সরাসরি আচার্যর অধীনে রয়েছে। ফলে এ ঘটনা আসলে রাজ্যপালের ব্যর্থতা।
এ নিয়ে ওমপ্রকাশকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমি জানি না শিক্ষামন্ত্রী কী টুইট করেছেন। তবে যদি তিনি বলে থাকেন এটা সম্পূর্ণভাবে আচার্যের অধীনে, সেটা তো ঠিক। রাজ্যপাল কোনও দায়িত্ব পালন না করে আনলিমিটেড অথরিটি উপভোগ করেন। উনি কোনও দায়িত্ব নিতে রাজি নন।”