যাদবপুর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র নেতার ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অডিয়ো ক্লিপের একটি কণ্ঠস্বর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিকের বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। তবে ওই ছাত্র নেতা নিজেও স্পষ্ট করে বলছেন না, এই কণ্ঠস্বর তাঁর নয়। এরই মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে মঙ্গলবার সহ উচাপার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, যে অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে একটি সুসম্পর্কের জায়গা রয়েছে এবং বিশ্ব মানচিত্রে যাদবপুরের শিক্ষাঙ্গনের নাম সবসময়েই একটি আলাদা গরিমা রয়েছে। তাই যে পড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি যদি ক্ষমা চান, তাহলে বিষয়টিকে ক্ষমাপূর্বক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হবে।
কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব প্রামাণিক এখনও নিজের বক্তব্য অচল। তাঁর সাফ কথা, ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। বরং ভাইরাল হওয়া ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা প্রমাণ হোক, সেই দাবিই তুলছেন তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি, যে অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে যে কণ্ঠস্বরটি ওই ছাত্রনেতার বলে দাবি করা হচ্ছে, তাতে শোনা যাচ্ছে সঞ্জীব প্রামাণিক বলছেন, ‘কোন টিচারের কলার ধরতে হবে বলুন। সঞ্জীব প্রামাণিক এত বড় ক্ষমতা রাখে। আমার হিস্ট্রি অনেকেই জানেন না, আমার অ্যাকটিভিটি অনেকেই জানে না।’ তবে এই কণ্ঠস্বর যে তাঁর নয়, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। বরং তাঁর দাবি, ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হোক।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন JUTA-র ডাকে অধ্যাপকরা একটি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। অরবিন্দ ভবন থেকে শুরু হয় সেই মিছিল। এরপর ৮-বি বাসস্ট্যান্ড হয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন তাঁরা। প্রায় আট বছর পর রাজপথে নামলেন যাদবপুরের অধ্যাপক সংগঠন JUTA-র সদস্যরা। বগটুই থেকে শুরু করে হাঁসখালি… রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেহাল দশার প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা। এর পাশাপাশি ছাত্র নেতা সঞ্জীব প্রামাণিকের দাদাগিরির প্রতিবাদও জানানো হয় ওই মিছিল থেকে।
তবে এই মিছিল যখন পিজি সায়েন্স এবং পিজি আর্টস মোড়ের কাছে পৌঁছায়, তখন সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বেশ কিছু সমর্থক পড়ুয়া পোস্টার হাতে অধ্যাপকদের মিছিলের পাল্টা প্রতিবাদ জানান। পোস্টারে লেখা, ‘অধ্যাপকরা রাজনীতি ছেড়ে কলম ধরুন।’ শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের এই পোস্টারের প্রেক্ষিতে JUTA-র তরফ থেকে পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুত্ব থাকুক, এটা সবাই চান। পোস্টার হাতে তাঁরা দাঁড়াতেই পারেন। তবে অধ্যাপকরা কলম ও ল্যাবরেটরি ধরে আছেন বলেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেরার সেরা হয়ে উঠছে।”
আরও পড়ুন : Migrant Labourers Death: ম্যাঙ্গালুরুতে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত ৫ পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ ফিরল কলকাতায়