কলকাতা: পড়ুয়া আছে। কিন্তু অধ্যাপক নেই। যার ফলে পঠন পাঠন চালিয়ে যেতে হিমসিম খাচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বেশ কয়েকটি বিভাগে চ্যান্সেলর নমিনি নেই। ফলে সম্ভব হচ্ছে না অধ্যাপক নিয়োগের কাজ। দেখা দিচ্ছে সংশয়। এর মধ্যে কম্পারেটিভ লিটারেচার বা তুলনামূলক বিভাগে সমস্যা সবচেয়ে প্রকট। তার পরে রয়েছে বাংলা বিভাগ। কিন্তু কেন এমন অবস্থা?
জানা যাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক থাকার কথা ৮৮৫ জন। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ৬২০ জন। কেন অধ্যাপক নেই? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে তুলনামূলক সাহিত্য, বাংলা সহ বেশ কয়েকটি বিভাগে চ্যান্সেলর নমিনি নেই। আর চ্যান্সেলর নমিনি না থাকলে রিক্রুটমেন্ট করা যায় না। তার ফলেই থেমে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগ। পড়ুয়া ও শিক্ষকের অনুপাতে বড় ফারাক দেখা যাচ্ছে যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এদিকে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্দেশ রয়েছে যেন প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত অধ্যাপক থাকেন। তার পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন পাঠন ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষকের অভাবে!
জানা গিয়েছে, এই সমস্যা নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উপাচার্য সুরঞ্জান দাস চিঠি লেখেন উচ্চশিক্ষা দফতরকে। আবেদন জানান যেন অবিলম্বে চ্যান্সেলর নমিনি দেওয়া হয়। ফের জুলাই মাসে চিঠি লেখেন তিনি। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। এমনই দাবি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সংগঠন জুটা-র। তারা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে এ বিষয়ে অবগত করেছেন বলে জানান। কিন্তু তার পরেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।
ফলত সমস্যার পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের মতো আরও বেশ কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট। তার ফলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা বলছে জুটা। উল্লেখ্য, সিলেকশন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করেন চ্যান্সেলর নমিনি। তিনি না থাকলে কোনও ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় না। এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগে স্থায়ী ডিন-ও নেই। সে কারণেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষকের অভাব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
উৎকর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় সহ উপচার্য স্যমন্তক দাস। তিনি বলেন, “অ্যাকাডেমিক সমস্যা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত চ্যান্সেলর নমিনি আসবে। সমস্যা মিটবে”। অন্যদিকে জুটার জেনারেল সেক্রেটারি পার্থ প্রতিমবাবুর দাবি, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট মহলকে চিঠি পাঠিয়েও কোনও ফল মেলেনি। তাঁরা আবার উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং আচার্যের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
এ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র তথা অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “চ্যান্সেলর নমিনি না থাকলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা হবেই। এটা হওয়া উচিত নয়। বিকাশ ভবনের এ বিষয়টা দেখা উচিত”।
আরও পড়ুন: SSC: এবার এসএসসি গ্রুপ সি-তে ৪০০ ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ! কড়া নির্দেশ দিল হাই কোর্ট