Jadavpur University: অর্থ সঙ্কট মেটাতে ‘বিকল্প’ ভাবনা খুঁজছে যাদবপুর, অর্থনীতির অধ্যাপকের নেতৃত্বে বসছে বৈঠক

Jadavpur University: যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সঙ্কটের জন্য রাজ্য সরকারকেই দুষেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।

Jadavpur University: অর্থ সঙ্কট মেটাতে 'বিকল্প' ভাবনা খুঁজছে যাদবপুর, অর্থনীতির অধ্যাপকের নেতৃত্বে বসছে বৈঠক
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2022 | 10:02 PM

কলকাতা: চরম অর্থসঙ্কটে ভুগছে যাদবপুর (Jadavpur University)। এ খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। এমনকী সঙ্কট মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠিও লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das)। যাদবপুরের গ্লোবাল অ্যালামনি ফাউন্ডেশনের কাছে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে সমস্যা নিরসনে আর্থিক কমিটি গড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দ্রুত আর্থিক সঙ্কট মেটাতে বৈঠকে বসছে যাদবপুরের কমিটি। অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সৈকত সিনহা রায়ের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছে যাদবপুর। 

সহজ কথায় অর্থ সঙ্কট মেটাতে ‘বিকল্প’ ভাবনা খুঁজছে যাদবপুর। টিভি নাইন বাংলাকে এক্সক্লুসিভলি এ কথা জানিয়েছেন সৈকত সিনহা রায়। এদিকে বর্তমান সঙ্কট নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় আগেই বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় এই মুহূর্তে বছরে প্রায় ৪৫-৫০ কোটি টাকা লাগে দৈনন্দিন খরচে (ল্যাবরেটরি চালানো, ক্লাস চালানো এবং বিভিন্ন বিদ্যুতের খরচ)। সেখানে রাজ্য সরকার এখন মেরে কেটে ২০ কোটি টাকা দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৩০ কোটি টাকার ঘাটতি। এরকম চলতে থাকলে পড়াশোনা করানোর কাজই দূরূহ হয়ে উঠবে।”

এ  প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিডকালে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। কারণ, কোভিডকালে আমরা পড়ুয়াদের থেকে কোনও টাকা নিইনি। বিভিন্ন কোর্স ফি-তে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।” সূত্রের খবর, একই অবস্থা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের। তবে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সঙ্কটের জন্য রাজ্য সরকারকেই দুষলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “রাজ্যের আর্থিক বেহাল অবস্থার প্রতিফলন আজকের যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক খরচ পয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কোটি। সেখানে রাজ্য দিচ্ছে মাত্র কুড়ি কোটি টাকা। চুরি আর রাজ্য সরকারের অর্থ ভান্ডারের টাকা তছরুপ হওয়ার প্রভাব পড়ছে শিক্ষাক্ষেত্রে। আজ যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।  আগামীতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটবে। এই ব্যাপারে সমস্ত ছাত্র শিক্ষক মিলে এর প্রতিবাদ করা উচিৎ নাহলে আগামী প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে।”