কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়েও। এমন অবস্থায় কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় প্রাক্তন সেনাকর্মীরা? নিরাপত্তার কাজে তাঁদের ব্যবহারের ভাবনা শুরু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। প্রসঙ্গত, পড়ুয়া মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত গাফিলতির তত্ত্ব বার বার উঠে এসেছে। এসবের মধ্যে যাদবপুরের নিরাপত্তা আধিকারিকের থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। কোথাও নিরাপত্তার গাফিলতি রয়েছে কি না কিংবা কোথায় কোথায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা দরকার সেই নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এসবের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে একটি প্রস্তাব যাদবপুরের সহ-উপাচার্যের কাছেও গিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নজরদারি চালানো যায় কি না, সেই বিষয়টিই প্রস্তাবে বলা হয়েছে। আপাতত গোটা বিষয়টি প্রস্তাবিত আকারে সহ-উপাচার্যের কাছে গিয়েছে। এদিকে রেজিস্ট্রার-সহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এই প্রস্তাবের বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আলোচনায় রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের থেকে অনুমতি পেলে এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের মেন হস্টেলের পড়ুয়া মৃত্যুর পর তদন্তে নেমেও শুরুর দিকে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। কারণ, ক্যাম্পাসের কোথাও সিসিটিভি নেই। এদিকে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় বার বার উঠে আসছে বহিরাগতদের আনাগোনা। ক্যাম্পাসের ভিতরে ডিপার্টমেন্টের সামনে পড়ে রয়েছে মদের বোতল। এমন বিভিন্ন খণ্ডচিত্র ঘিরে বার বার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে। আর এসবের মধ্যে কি শেষে টনক নড়ল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের? বিতর্কের মাঝে অবশেষে কি নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে নড়েচড়ে বসছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ? এখন দেখার যে প্রস্তাবের কথা শোনা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয় কি না।