Jadavpur University: ‘রাম-রাম’ স্লোগান উঠতেই শুরু ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, অশান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

সুমন মহাপাত্র | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 22, 2024 | 12:31 PM

Jadavpur University: ক্যাম্পাসে অযোধ্যার অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিমিং করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এরপর স্ক্রিনিংয়ের পক্ষের পড়ুয়ারা গ্রিন জোনে একত্রিত হয়ে বসে পড়ে। দিতে থাকেন রাম-রাম স্লোগান। উল্টো দিক থেকে এগিয়ে আসেন বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। তাঁদের মুখে 'ইনকিলাব স্লোগান'। ক্যাম্পাসের ভিতরেই কার্যত ধস্তাধস্তি বেধে যায়।

Jadavpur University: রাম-রাম স্লোগান উঠতেই শুরু ইনকিলাব জিন্দাবাদ, অশান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
অশান্ত যাদবপুর
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে অযোধ্যার অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিমিং করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এরপর স্ক্রিনিংয়ের পক্ষের পড়ুয়ারা গ্রিন জোনে একত্রিত হয়ে বসে পড়ে। দিতে থাকেন রাম-রাম স্লোগান। উল্টো দিক থেকে এগিয়ে আসেন বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। তাঁদের মুখে ‘ইনকিলাব স্লোগান’। ক্যাম্পাসের ভিতরেই কার্যত ধস্তাধস্তি বেধে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়েন সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। মাথা ফেটেছে সিকিউরিটি হেড মুকুল চন্দ্র দাসের। গেটের বাইরে মোতায়েন পুলিশ।

আজ অযোধ্যাতে হচ্ছে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তাতেই মেতে গোটা দেশ। গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছিল যে ক্যাম্পাসের ভিতরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হবে। আয়োজক হিসাবে লেখা ছিল, ‘JU Students’। আর এই পোস্ট ভাইরাল হতেই ধীরে-ধীরে চাপানোতর বাড়ছিল ক্য়াম্পাসে। তবে এসএফআই পরিষ্কার জানিয়েছিল, যাদবপুরের ভিতরে কোনও বিভাজনমূলক রাজনীতি তারা বরদাস্ত করবে না।

এরপর আজ স্ক্রিনিংয়ের পক্ষের পড়ুয়ারা গ্রিন জোনে একত্রিত হয়ে পড়েন। তখন তাদের প্রথমে নিষেধ করেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরও অযোধ্যার স্ক্রিনিংয় চালানোর চেষ্টা করেন তারা। এরপরই বিরোধ বাধে বাম-ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে। তাদের অভিযোগ, যে সকল পড়ুয়ারা এই স্ক্রিনিং করছেন তারা সকলে এবিভিপি করেন। বাম ছাত্র-সংগঠনের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা। পরিষ্কার জানিয়েছেন, তারা যাদবপুরের পড়ুয়া মাত্র। কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এ দিকে, অযোধ্যার স্ক্রিনিংয়ে বাধা পেতেই ‘রাম-রাম’ স্লোগান দিতে থাকে তারা। অপরদিকে, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনও তোলে ‘ইনকিলাব স্লোগান’। অভিযোগ, দুপক্ষের মারামারি চলে। সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বাধা দিতে গেল অভিযোগ মার খেতে হয় তাঁকেও। যাঁরা স্ক্রিনিং করতে চেয়েছিল তাঁদের কার্যত মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বামপন্থী পড়ুয়ারদের বিরুদ্ধে।

স্ক্রিনিংয়ের পক্ষের পড়ুয়ারা বলেন, “আমরা স্ক্রিনিং করছিলাম। প্রসাদ দিতাম। পুজো করতাম। সেই সময় বামপন্থী ছেলেমেয়েরা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে। আমাদের গালিগালাজ করা হয়। ওরা স্লোগান দেয়। এমনকী মারধর করা হয়েছে।”

Next Article