কলকাতা: স্রেফ একটা নোটিস বোর্ড, বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করতেই যাদবপুরে জোর বিতর্ক।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ প্রবেশ ছিল যে কারোর। রাতবিরেতে কেউ চাইলেই প্রবেশ করতে পারতেন যাদবপুরে। ফলস্বরূপ, গত কয়েক মাস ধরে বারবার যাদবপুরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল।
যাদবপুরের গবেষক সঞ্জীব প্রামাণিকের ওপর বেশ কয়েকদিন আগে রাতে হামলা হয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই। অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় মদ্যপ বহিরাগতরা হামলা চালায় তাঁর ওপর। তাঁর গালে কামড়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ। গালে ক্ষত তৈরি হয়েছে তাঁর। এছাড়াও ক্যাম্পাসে রাতে বহিরাগতরা ঢুকে অশ্লীল আচরণ, কটূক্তি করছে বলে অভিযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ বহিরাগত নিষিদ্ধ করে দেয়। প্রত্যেক গেটে লাগানো হয় নোটিস বোর্ড। কিন্তু তা না-পসন্দ পড়ুয়াদের একাংশের। যাদবপুরে মুক্ত চিন্তার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এরপরই ওই নোটিস বোর্ডে দেখা যায় কালি লেপে দিয়েছেন কেউ। রবিবার যে নোটিস লাগানো হয়েছিল, তা টিকল না একদিনও। নোটিস লাগানোর বিষয়টির বিরোধিতা করলেও, কালি লেপে দেওয়ার দায় এখনও পর্যন্ত কেউ নেয়নি।
ফেটসু, আফসু সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্ত মানবে না। অন্যদিকে শিক্ষকরা চান এই সিদ্ধান্ত থাক। সব মিলিয়ে চরম সংঘাতের আবহ। এমতাবস্থায় তড়িঘড়ি মঙ্গলবার স্টেকহোল্ডার বৈঠক হবে যাদবপুরে। এক আবাসিক বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে বহু আবাসিক এবং স্টাফেরা থাকেন। নিত্য দরকারে তাঁদের বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়। তাঁদের আত্মীয় পরিজনেরাও আসেন গেটের নোটিস তাঁদের জন্যও অসুবিধাজনক।”