Jadavpur University: ৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের!

সুমন মহাপাত্র | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 10, 2023 | 1:01 PM

তবে এর আগে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন শিক্ষক-অশিক্ষক-পড়ুয়াদের লাগাতার বিক্ষোভ চলছিল সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। তিনি সে সময়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সরকার না চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন না।

Jadavpur University: ৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের!
অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ৬ মাস বেতন বন্ধ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের। কোনওমতে দিন চালাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী। এপ্রিল মাসে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে সাধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু তারপর আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে পারছেন না তিনি। অভিজ্ঞ মহলের একাংশের মত, তার পিছনে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতও থাকতে পারে। কিন্তু এই জটিল পরিস্থিতিতে অধ্যাপক ৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।

অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তীর বলেন, “আমাকে রেজিস্ট্রার বলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিলিজ অর্ডার আনতে হবে। আমি শুনে অবাক হই। কারণ এর আগে কোনও ভাইস চ্যান্সেলরকে এমন করতে হয়নি।” অধ্যাপকের বক্তব্য, “দু-তিন বার আমি মনে করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও ওঁ কোও উত্তর দেননি। তখন বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই। সেই মামলা এখন চলছে।”

অধ্যাপক জানাচ্ছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ মে তিনি জয়েনিং লেটার জমা করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বেতন পাননি তিনি। অধ্যাপক বলেন, “আমার পরিবার মারাত্মকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আমার বন্ধুরা আমাকে সাহায্য করছেন। পাঁচ-ছ’মাস ধরে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে যাচ্ছেন। তাতে আমি বেঁচে রয়েছি।”

তবে এর আগে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন শিক্ষক-অশিক্ষক-পড়ুয়াদের লাগাতার বিক্ষোভ চলছিল সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তাঁর পদত্যাগের দাবি ওঠে। তিনি সে সময়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সরকার না চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন না।

রেজিস্ট্রারের সঙ্গে উপাচার্যের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের পক্ষ থেকে। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সেই ধর্মঘটে অনুপস্থিত কর্মীদের সরকারি নির্দেশনামা উপেক্ষা করে পুরো বেতন দিয়ে দিয়েছেন ও সেদিনকার অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার অর্থ মন্ত্রকে পাঠাতে অসহযোগিতা করছেন। এই অভিযোগ তুলে রেজিস্ট্রারকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নোটিস দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তী। তখন থেকেই বিতর্কে ছিলেন তিনি।

Next Article