কলকাতা: ডেঙ্গি আক্রান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যু হল সোমবার। এমটেক প্রথমবর্ষের পড়ুয়া ছিলেন ওই ছাত্র। সহপাঠীরা জানান, ওহিদুর রহমান নামে ওই ছাত্র এনএস ওয়ান ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। গত ৩১ অগস্ট তাঁকে ভর্তি করা হয় কেপিসি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সম্প্রতি যাদবপুরের ছাত্ররা অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্যাম্পাসজুড়ে মশার উৎপাতে টেকা দায়। হস্টেলে কয়েকজনের ডেঙ্গিও হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়চত্বরে বহু জায়গায় জল, নোংরা জমে বিপদ বাড়ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
শুধু ছাত্ররাই কেন, আচার্য সিভি আনন্দ বোস-নিযুক্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউও এই মশার উপদ্রব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, কেন হচ্ছে সেটা দেখবেন। যাঁরা এই বিষয়গুলি দেখেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। ঘুরপথে তিনি এই দায়ভার রাজ্য সরকারের উপর চাপিয়ে বলতে শোনা গিয়েছিল, সরকারি যে সমস্ত কর্মীদের এসব দেখার কথা, তিনি তাঁদের এরকম কোনও কাজ করতেই দেখেন না।
সোমবার ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কী করব? একজন দায়িত্বশীল উপাচার্য বা একজন দায়িত্বশীল সুপারকে কি নোটিস পাঠাব? কতবার সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেরা গিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যেভাবে আবর্জনা হয়ে পড়ে থাকে, সেগুলি পরিষ্কার ব্যাপারে কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া হয় না। আমরা গিয়ে পরিষ্কার করি। আমার যাব। আবার গিয়ে আমরা সচেতন করব।”
ফি বছর বর্ষার মরসুম এলেই মাথাচাড়া দেয় ডেঙ্গি। দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির একাধিক জায়গায় এবারও মশাবাহিত এই রোগের দাপট দেখা যাচ্ছে। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা জানানো না হলেও প্রায়শই বিভিন্ন জায়গায় থেকে ডেঙ্গি পজিটিভ রোগীর মৃত্যুর খবর আসছে। সম্প্রতি দক্ষিণ দমদমে দু’জন মারা যান। তাঁরাও ডেঙ্গি পজিটিভ ছিলেন।